কুষ্টিয়ায় চাঁদাবাজির অভিযোগে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

আমিনুর রহিমকে নিয়ে তাঁর ব্যক্তিগত কার্যালয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। শনিবার কুষ্টিয়া শহরের এনএস রোডে
প্রথম আলো

কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুর রহিমকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে শহরের এনএস রোড এলাকা থেকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। আমিনুরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে জায়গা দখলের অভিযোগ আছে।

কুষ্টিয়া মডেল থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ সূত্র জানায়, শহরের থানাপাড়া এলাকার বাসিন্দা আমিনুর রহিম পল্লব আওয়ামী লীগের নেতাদের নাম ব্যবহার করে নানা অপকর্ম করতেন। তিনি কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ে টেন্ডারবাজি, পৌরবাজার নিয়ন্ত্রণ করা ছাড়াও লোকজনকে হয়রানি করে অর্থ আদায় করে আসছিলেন।

শনিবার সকালে কয়েকটি অভিযোগের সত্যতা পেয়ে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তাঁকে আটক করে গোয়েন্দা কার্যালয়ে নেয়। সেখানে এক ঘণ্টা রাখার পর আমিনুরকে নিয়ে তাঁর কার্যালয়ে অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশ। শহরের এনএস রোডের পরিমল টাওয়ারের ষষ্ঠ তলায় অন্তত আধা ঘণ্টা ধরে এ অভিযান চলে। পরে বিকেলে তাঁকে কুষ্টিয়া মডেল থানায় নেওয়া হয়। মহব্বত আলী নামের এক ব্যবসায়ী চাঁদাবাজির অভিযোগে আমিনুর রহিমসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, আমিনুরের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীসহ কয়েকজন ব্যক্তি একাধিক অভিযোগ দিয়েছেন। এক ব্যবসায়ী মামলা করেছেন। অন্য অভিযোগের ভিত্তিতেও মামলা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আমিনুরের ভয়ে নিজের দোকানের দখল পাচ্ছিলেন না ব্যবসায়ী মহব্বত আলী। পৌর বাজারের দক্ষিণে ওই ব্যবসায়ীর বিপণিবিতান আছে। সেই বিপণিবিতানের ছয়টি দোকান নিয়ে বরফের ব্যবসা করেন মাছ ব্যবসায়ী বেলাল ও হোসেন। ২০১৬ সালে তাঁদের দোকানের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়। এরপর গত চার বছর নতুন করে চুক্তিও করেননি এবং আড়াই বছর ধরে ভাড়াও পরিশোধ করছেন না। বিপণিবিতান সংস্কারের জন্য দোকান ছেড়ে দিতে বলেন মহব্বত। এরপরও দোকান না ছেড়ে ওই দুই ব্যবসায়ী আমিনুরের কথা বলে মহব্বতকে ভয় দেখান। বর্তমানে পুরো বিপণিবিতান আমিনুরের দখলে আছে।