কুষ্টিয়ায় নববধূকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামীকে আসামি করে মামলা

হত্যা
প্রতীকী ছবি

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় স্বামীর বিরুদ্ধে এক নববধূকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুমাইয়া খাতুন (১৮) নামে ওই নববধূর মৃত্যু হয়।

সুমাইয়া খাতুন উপজেলার আমলা ইউনিয়নের মিটন গ্রামের সাদিকুল ইসলামের স্ত্রী এবং দৌলতপুর উপজেলার খলিশাকুন্ডি ইউনিয়নের মালিপাড়া এলাকার আয়েম আলীর মেয়ে।

সুমাইয়ার বাবা অভিযোগ করেন, যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় তাঁর মেয়েকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মিরপুর থানায় সুমাইয়ার বড় ভাই রাশিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেছেন।

মিরপুর থানার ওসি শুভ্র কান্তি দাস প্রথম আলোকে বলেন, লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শিশু ও নারী নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা হয়েছে। স্বামীসহ দুজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। প্রধান আসামি সাদিকুলের মাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিরা পলাতক।

সুমাইয়ার বাবা অভিযোগ করেন, যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় তাঁর মেয়েকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে।

সুমাইয়ার পরিবার সূত্র জানায়, গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর পারিবারিকভাবে সুমাইয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাঁর সংসারে কলহ দেখা দেয়। যৌতুকের এক লাখ টাকার জন্য সুমাইয়ার স্বামী চাপ দিতে থাকেন। কিছু টাকা দেওয়া হলেও সাদিকুল আবারও টাকা চান। সেই টাকা দিতে না পারায় সাদিকুল ও তাঁর পরিবারের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে নববধূকে গালমন্দ করতে থাকেন।

সুমাইয়ার পরিবারের অভিযোগ, গতকাল মঙ্গলবার সকালে সুমাইয়ার শরীরে ডিজেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর দগ্ধ অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাঁকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিন বিকেলে সুমাইয়ার মৃত্যু হয়।