কুষ্টিয়ায় বজ্রপাতে চারজনের মৃত্যু

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বজ্রপাতে তিন কৃষকসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুজন। আজ সোমবার বিকেলে এসব ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন দৌলতপুর উপজেলার চক দৌলতপুর গ্রামের নাহারুল ইসলাম (৫২), শেরপুর সেনপাড়া এলাকার ইরাজুল ইসলাম (৪৮), নাটনাপাড়া গ্রামের কামাল হোসেন (২৫) ও মহিবুল ইসলাম (২৭)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দুপুরে নাহারুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রী কমেলা খাতুন নিজ বাড়িতে টিনের ঘরে কাজ করছিলেন। এ সময় বৃষ্টির সঙ্গে প্রচণ্ড শব্দে বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই নাহারুল ইসলামের মৃত্যু হয়। এ সময় তাঁর স্ত্রী কমেলা খাতুন (৪৫) গুরুতর আহত হলে তাঁকে উদ্ধার করে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এদিকে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের নাটনাপাড়া মাঠে বজ্রপাতে কামাল হোসেন ও মহিবুল নামের দুই কৃষক গুরুতর আহত হন। তাঁদের অচেতন অবস্থায় বাড়িতে নেওয়া হয়। পরিবারের লোকজন মৃত ভেবে তাঁদের দাফনের প্রস্তুতি নিতে থাকেন। একপর্যায়ে দুজনের শরীর নড়ে উঠলে দ্রুত দুজনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে পথে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমাইয়া জাহান দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

সুমাইয়া জাহান বলেন, অনেক আগেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের লোকজন লাশ বাড়িতে নিয়ে গেছেন।

অন্যদিকে শেরপুর সেনপাড়া এলাকায় কৃষক ইরাজুল মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান। তাঁর লাশ বাড়িতে নেওয়া হয়। একই সময়ে জেলার মিরপুর উপজেলার চিথলিয়া গ্রামে মাঠে কাজ করার সময় কৃষক আতিয়ার রহমান (৫৫) বজ্রপাতে গুরুতর আহত হন। তাঁকে পরিবারের সদস্যরা উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।

দৌলতপুর থানার পরিদর্শক নিশিকান্ত সরকার মিরপুর হাসপাতাল ছাড়া বাকি দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।