কুষ্টিয়ায় মধ্যরাত থেকে সাত দিনের লকডাউন

লকডাউন
ফাইল ছবি

করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে কুষ্টিয়া জেলায় সাত দিনের লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে লকডাউন কার্যকর হবে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম রাত আটটার দিকে এ বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন।

জেলা প্রশাসনের গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জেলায় সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, শিল্পকারখানা, শপিং মল, দোকান, রেঁস্তোরা ও চায়ের দোকান বন্ধ থাকবে। তবে কাঁচাবাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় (মুদি) পণ্যের দোকান ও ওষুধের দোকান সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখা যাবে।

লকডাউন চলাকালে সব পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ থাকবে। আন্তজেলা ও দূরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া ইজিবাইক, থ্রি–হুইলারসহ সব যান্ত্রিক যানবাহন বন্ধ থাকবে।এ সময় সব সাপ্তাহিক হাট ও গরুর হাট বন্ধ থাকবে।

ওই গণবিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া (ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনা, চিকিৎসাসেবা, মরদেহ দাফন বা সৎকার ইত্যাদি) কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। জরুরি প্রয়োজনে যাঁরা ঘর থেকে বের হবেন, তাঁদের অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে।

আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা (কৃষি উপকরণ, খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, গণমাধ্যম, বিদ্যুৎ, পানি, জ্বালানি তেল, ফায়ার সার্ভিস) চালু থাকবে। এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী ও যানবাহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট লকডাউনের সময় সবাইকে এসব বিধিনিষেধ মেনে চলার নির্দেশ দেন। অন্যথায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি। এ লকডাউন চলবে ২৭ জুন পর্যন্ত।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, কুষ্টিয়ায় করোনার সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। আজ ২২৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮৩ জনের শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩৬ দশমিক ৭২ শতাংশ। আজ মারা গেছেন সাতজন। গতকাল শনিবার ৫৪৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৬৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ। ওই দিন মারা যান সাতজন রোগী। গত শুক্রবার ৩৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১১২ জনের শনাক্ত হয়। ওই দিন করোনা শনাক্তের হার ছিল ৩০ দশমিক ৪৩ শতাংশ।