কুয়াশায় বন্ধের সাড়ে ৪ ঘণ্টা পর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় ফেরি চালু

দৌলতদিয়া–পাটুরিয়া নৌপথে ঘন কুয়াশার কারণে সাড়ে ৪ ঘণ্টার মতো ফেরি বন্ধ ছিল। মঙ্গলবার সকালে দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ফেরি ঘাটে
ছবি: এম রাশেদুল হক

রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে ঘন কুয়াশার কারণে গতকাল সোমবার দিবাগত রাত তিনটা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে সাতটা পর্যন্ত সাড়ে চার ঘণ্টার মতো ফেরি বন্ধ ছিল। এর আগে যানবাহনবোঝাই তিনটি ফেরি মাঝনদীতে কুয়াশার কবলে পড়ে নোঙর করে থাকতে বাধ্য হয়। পারাপার হতে না পারায় উভয় ঘাটে পাঁচ শতাধিক বিভিন্ন ধরনের যানবাহন আটকে আছে।

এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক খোরশেদ আলম। তিনি বলেন, নবম দিনের মতো দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে কুয়াশার কারণে নৌযান পারাপার ব্যাহত হয়। গতকাল রাতে আবারও কুয়াশা পড়তে থাকলে অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে ফেরি চলাচল অব্যাহত রাখা হয়।

রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশার মাত্রা আরও বাড়তে থাকলে একপর্যায়ে দুর্ঘটনা এড়াতে কর্তৃপক্ষ রাত তিনটা থেকে ফেরি বন্ধ করে দেয়। এর আগে উভয় ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া তিনটি বড় ফেরি মাঝনদীতে আটকা পড়ে। আরও কয়েকটি ফেরি ঘাট ছেড়ে কিছু দূর যাওয়ার পর ঝুঁকি না নিয়ে পুনরায় ঘাটে ফিরে যায়। সাড়ে চার ঘণ্টা পর আজ সকাল সাড়ে সাতটার দিকে কুয়াশা কেটে গেলে ফেরি চলাচল শুরু হয়। সকাল সাতটার দিকে কুয়াশা কম দেখে ফেরি ছাড়লেও হঠাৎ চারপাশ কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে পড়লে ফেরিগুলো ঘাটে নোঙর করে থাকে।

খোরশেদ আলম আরও বলেন, সাড়ে চার ঘণ্টার মতো ফেরি বন্ধ থাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে ঢাকাগামী দুই শতাধিক বিভিন্ন ধরনের যানবাহন আটকা পড়ে। একইভাবে পাটুরিয়া প্রান্তেও ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে আরও দুই শতাধিক বিভিন্ন যানবাহন আটকা পড়ে। উভয় ঘাটে মহাসড়কগুলোয় যাত্রীবাহী বাসসহ পাঁচ শতাধিক বিভিন্ন ধরনের যানবাহন আটকা পড়ে। রাতে আসা অধিকাংশ যাত্রীবাহী নৈশকোচ সকালেই পার হয়ে যাওয়ায় এখন বেশির ভাগ পণ্যবাহী গাড়ি আটকে রয়েছে।