কেডিএর ৩০ প্লটের বরাদ্দ বাতিলের দাবি খুলনা আ.লীগের

খুলনা জেলার মানচিত্র
প্রতীকী ছবি

সম্প্রতি খুলনার ময়ূরী আবাসিক প্রকল্পের ৩০টি প্লট বরাদ্দ দিয়েছে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ)। ওই কার্যক্রমকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে তা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন খুলনা আওয়ামী লীগের নেতারা। পাশাপাশি কেডিএর সেবার মান বাড়ানোর কথা বলেছেন তাঁরা।

গতকাল সোমবার রাতে মহানগর আওয়ামী লীগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিটি পাঠান খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মুন্সি মাহবুব আলম।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,  মহানগর আওয়ামী লীগ জানতে পেরেছে, কেডিএর বিদায়ী চেয়ারম্যান আবদুল মুকিম দুর্নীতির মাধ্যমে তাঁর আত্মীয়স্বজন ও পছন্দের ব্যক্তিকে লটারি ছাড়া ময়ূরী আবাসিক প্রকল্পের ৩০টি প্লট বরাদ্দ দিয়েছেন। এ ছাড়া চেয়ারম্যান ময়ূরীতে প্লটের মূল্যের ক্ষেত্রে উচ্চ হারে সুদ নির্ধারণ করে গ্রাহকদের নাস্তানাবুদ করছেন।

একই বিজ্ঞপ্তিতে খুলনার উন্নয়ন ও মহাপরিকল্পনা এবং নগরায়ণের কাজে মনোযোগ না দিয়ে বাণিজ্যিকভাবে কেডিএ পরিচালনার অভিযোগের বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিবৃতিদানকারী হিসেবে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক, খুলনা-২ আসনের সাংসদ সেখ সালাহ উদ্দিন, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা এবং খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুজিত কুমার অধিকারীর নাম উল্লেখ করা হয়।

আওয়ামী লীগের ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রূপসা বাইপাস সড়কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনবার অর্থ বরাদ্দ দিয়েছেন। সেখানে এখনো কাজ শুরু হয়নি। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী নিরালা ও গল্লামারী থেকে রায়ের মহল এবং আড়ংঘাটা থেকে রায়ের মহল সড়ক করার জন্য ৩৯৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। কিন্তু সেখানেও কাজ শুরু হয়নি। মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে দ্রুত এসব প্রকল্পের কাজ শুরু করতে কেডিএর প্রতিও আহ্বান জানানো হচ্ছে।

দুই দিন আগে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কেডিএ) চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দিয়েছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুল ইসলাম। সদ্য সাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, যদি কোনো অনিয়ম হয়ে থাকে তাহলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে।

কেডিএর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে বলেন, আগে যদি কোনো কারণে কেডিএ খুলনাবাসীর আস্থা বা সন্তুষ্টির কারণ হতে না পারে, তাহলে এখন থেকে আস্থা অর্জনে কাজ করবে কেডিএ।