কেন্দ্রভিত্তিক ভোটের ফল নিয়ে এখনো বিভ্রান্তি

অনেক ভোটকেন্দ্রে ইভিএম থেকে মুদ্রিত ফলাফলের অনুলিপি প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা জমা দিতে পারেননি বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

গত ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়
ছবি: প্রথম আলো

ভোট গ্রহণের ছয় দিন পরও চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের কেন্দ্রভিত্তিক ফল নিয়ে বিভ্রান্তি কাটছে না। বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিয়ে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সর্বশেষ ফলাফলে বিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেনকে ২২টি কেন্দ্রে শূন্য ভোট দেখানো হয়েছে। অথচ ২৯ জানুয়ারি গণমাধ্যমে পাঠানো ইসির কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফলে দুই কেন্দ্রে শূন্য ভোট ছিল শাহাদাতের। তবে ২৯ জানুয়ারির ফলাফলের কপিতে ১০৮টি কেন্দ্রের ভোটের হিসাব ছিল না।

কেন্দ্রভিত্তিক ভোটের ফলে জালিয়াতি হয়েছে, এমন প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য মেয়র প্রার্থীরা। এমনকি ভোটকেন্দ্রে ঘোষণা করা ফল নিয়ন্ত্রণকক্ষে আসতে আসতে পাল্টে যাওয়া এবং যেসব কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ ৭০ শতংশের বেশি দেখানো হয়েছে, সেসব কেন্দ্রের ইভিএম মেশিনের মুদ্রণ কপি পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

বিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেন ভোটের পর গত ৩১ জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলন করে চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনকে ‘ভোট লুটের মহোৎসব’ বলে উল্লেখ করেছেন। নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ভোট জালিয়াতির অভিযোগে মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

গত ২৭ জানুয়ারি বিকেল চারটায় ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পর কেন্দ্রভিত্তিক বেসরকারি ফল ঘোষণা করতে রাত দুইটা পর্যন্ত লেগে যায়। ইভিএমে (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) ভোটের পরও কেন ফল ঘোষণা করতে ১০ ঘণ্টা লাগল, তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মনেও নানা প্রশ্ন, সন্দেহ–অবিশ্বাস তৈরি হয়েছে।

*ইভিএমে ভোটের পরও কেন ফল ঘোষণা করতে ১০ ঘণ্টা লাগল, তা নিয়ে নানা প্রশ্ন, সন্দেহ-অবিশ্বাস তৈরি হয়েছে *বিএনপির মেয়র প্রার্থী কত কেন্দ্রে শূন্য ভোট পেয়েছেন, তা নিয়ে দুই রকম তথ্য ইসির।

কেন্দ্রভিত্তিক ফলে বিভ্রান্তি

ভোটের পর সন্ধ্যা থেকে চট্টগ্রাম শহরের এম এ আজিজ স্টেডিয়াম–সংলগ্ন জিমনেসিয়ামে স্থাপিত ইসির নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে ফল ঘোষণা করা হয়। সেখানে প্রজেক্টরের মাধ্যমে বড় স্ক্রিনে কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফল তুলে ধরা হয়। মোট ৭৩৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৭৩৩টি কেন্দ্রের ফল ঘোষণা করা হয়। সহিংসতার জন্য দুটি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়। ফলাফলে ২২ কেন্দ্রে বিএনপি প্রার্থী শাহাদাত হোসেন শূন্য ভোট পেয়েছেন বলে ঘোষণা দেওয়া হয় (এ–সংক্রান্ত তথ্য–প্রমাণ প্রথম আলোর কাছে রয়েছে)। এর এক দিন পর গণমাধ্যমে পাঠানো কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফলে দেখা যায়
, দুটি কেন্দ্রে ধানের শীষ শূন্য ভোট পেয়েছে। এই ফলাফলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামানের স্বাক্ষর রয়েছে। তবে ১০৮টি কেন্দ্রের ফল তাতে ছিল না। পরে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে ওই ১০৮টি কেন্দ্রসহ ৭৩৩ কেন্দ্রের একীভূত ফল সংগ্রহ করে দেখা যায়, ধানের শীষ ৩টি কেন্দ্রে শূন্য ভোট পেয়েছে।

গতকাল সোমবার দুপুরে হাসানুজ্জামান প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, নিয়ন্ত্রণকক্ষের ঘোষণামঞ্চ থেকে ২৭ জানুয়ারি রাতে যে ফল ঘোষণা করা হয়, সেই ফলই বহাল রয়েছে। গণমাধ্যমকে ই–মেইলে দেওয়া ফলটি সঠিক নয় বলে তাঁর দাবি। তিনি ঘোষণামঞ্চ থেকে ঘোষিত ফলাফলের মুদ্রিত অনুলিপিও এই প্রতিবেদককে দেখান। প্রতিটি পৃষ্ঠায় তাঁর স্বাক্ষর রয়েছে। তাতে দেখা যায়, ২২টি কেন্দ্রে বিএনপির প্রার্থী শূন্য ভোট পেয়েছেন।

হাসানুজ্জামান বলেন, তাড়াহুড়ার কারণে গণমাধ্যমে ই–মেইলে পাঠানোর ফলে ভুল হতে পারে।

এ বিষয়ে বিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেন বলেন, ইসি যেভাবে ইচ্ছে, সেভাবেই ফল পাল্টে দিতে পারে, এটিই তার বড় প্রমাণ।

ফল নিয়ে বিভ্রান্তির বিষয়ে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘নির্বাচন যারা পরিচালনা করেছে, এটা সম্পূর্ণ তাদের বিষয়। এ বিষয়ে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই।’

৭৩৩ কেন্দ্রের মধ্যে সর্বনিম্ন ভোট পড়েছে ১ দশমিক ২৭ শতাংশ। সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে ৯৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ। ৪৯ কেন্দ্রে ভোট ছিল ৫ শতাংশের কম। এ ছাড়া ৯ কেন্দ্রে ভোট ছিল ৯০ শতাংশের বেশি। ভোটের এত তারতম্য সম্পর্কে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, পোশাকশ্রমিকদের অনুপস্থিতিসহ নানা কারণে ভোট কমবেশি হয়েছে।

ইভিএমে ভোটের পরও কেন ফল ঘোষণা করতে ১০ ঘণ্টা লাগল, তা নিয়ে নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে
ছবি: প্রথম আলো

ফলাফলের মুদ্রণ অনুলিপি নেই

কেন্দ্রভিত্তিক ফলে দেখা যায়, ৭০ শতাংশের ওপর ভোট পড়েছে ৫টি কেন্দ্রে। ৮০ শতাংশ বা তার বেশি ভোট পড়েছে ৩৪ কেন্দ্রে। আর ৯০ শতাংশ বা তার বেশি পড়েছে ১৩ কেন্দ্রে। ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৩, ৩৯, ৩৭, ২৫ ও ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের কোনো কোনো কেন্দ্রে অস্বাভাবিক বেশি ভোট পড়েছে। এসব কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা চাপের মুখে বেশি ভোট দেখাতে বাধ্য হন বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব কেন্দ্রের ইভিএমের কোনো মুদ্রণ অনুলিপি প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা জমা দিতে পারেননি।

ইসির একটি সূত্র বলছে, যেসব কেন্দ্রের ভোট ৬০ শতাংশের বেশি পড়েছে, সেসব কেন্দ্রের ইভিএমের মুদ্রণ অনুলিপি প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা জমা দিতে পারেননি। ভোটের ফল কাগজে লিখে তাতে স্বাক্ষর করে জমা দিয়েছেন।

বিষয়টি স্বীকার করে রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, কোনো কোনো প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মুদ্রণ অনুলিপি হারিয়ে ফেলেছেন কিংবা ভুলে গেছেন জমা দিতে।

অথচ সিটি করপোরেশন নির্বাচন (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) বিধিমালায় বলা আছে, ‘ভোট গণনার ক্ষেত্রে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আইনগতভাবে অনুমতিপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গের সম্মুখে কেন্দ্রভিত্তিক ইভিএমের নিয়ন্ত্রণ ইউনিট হতে ফলাফল মুদ্রণ করবেন এবং মুদ্রণকৃত ফলাফল কপিতে প্রসাইডিং কর্মকর্তা নিজে স্বাক্ষর করবেন এবং উপস্থিত পোলিং এজেন্টদের স্বাক্ষর গ্রহণ করবেন, কেউ স্বাক্ষর গ্রহণে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করলে তাহা লিপিবদ্ধ করবেন।’

সিটি করপোরেশন নির্বাচন, ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ ম্যানুয়াল প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের দায়িত্ব নির্ধারণ করা রয়েছে। তাতে বলা হয়, ভোট গ্রহণ শেষ হলে ইভিএমের প্রিন্ট কপি নিয়ে তাতে সবার স্বাক্ষর নিতে হবে।

ইভিএমে ভোট গণনা শেষে কোন প্রার্থী কত ভোট পেয়েছেন, তার একটি বিবরণী কাগজে মুদ্রিত হয়ে বের হয় (ইভিএম যন্ত্র থেকে)। ইভিএম থেকে মুদ্রিত এই ফলাফল নির্ধারিত ফরমে সন্নিবেশ করে মেয়র, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর ও সাধারণ কাউন্সিল পদের জন্য ভোট গণনার বিবরণী প্রস্তুত করতে হয়।

বিধিমালায় বলা আছে, ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণার পর প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ভোটে ব্যবহৃত এসডি কার্ড (ইভিএমে থাকে), অডিট কার্ড ও পোলিং কার্ড একটি প্যাকেটে সিলগালা করবেন। ইভিএমের কনট্রোল ইউনিট ও ব্যালট ইউনিটসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি ইভিএম বক্সে রেখে সিলগালা করা ব্যাগ ও ইভিএম বাক্স এবং আলদা প্যাকেটে ফলাফল বিবরণী রিটার্নিং কর্মকর্তা বা সহকারী রিটার্নিং কর্মকতার কাছে জমা দেবেন। নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল পুনঃপরীক্ষা বা গণনার নির্দেশ দিলে সিলগালা করা কার্ডগুলো যেকোনো ইভিএমে ঢুকিয়ে ফলাফল পুনরুদ্ধারের ব্যবস্থা করবে।

সংরক্ষিত–১০ আসনের পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী রাধা রানী দেবী অভিযোগ করেছেন, অন্তত ছয়টি কেন্দ্রে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে ভোট বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যে কারণে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা কোনো মুদ্রণ কপি জমা দিতে পারেননি।

তবে এ অভিযোগ প্রসঙ্গে বিজয়ী প্রার্থী হুরে আরা বেগম বলেন, ভোট সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে হয়েছে। পরাজিত প্রার্থী হিসেবে যা বলছেন, তা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। আর মুদ্রণ অনুলিপি জমা না দেওয়ার বিষয়টি তাঁর জানা নেই।

গুরুতর অভিযোগ

দক্ষিণ কাট্টলীর (১১ নম্বর ওয়ার্ড) পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী মোর্শেদ আকতার চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ভোটে জয়ী করার জন্য জাহিদ ও সোহেল নামে দুজন তাঁর কাছে ৪০ লাখ টাকা চেয়েছিলেন। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আতাউর রহমান ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. তারিফুজ্জামানের কথা বলেছিলেন তাঁরা। ওই দুজন সম্ভবত নির্বাচন কার্যালয়ের দালাল হবেন। কিন্তু তিনি প্রস্তাবে রাজি হননি। ২৫ জানুয়ারি অনেক কাউন্সিলর প্রার্থী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে গিয়ে টাকা দিয়েছেন অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘সিসি ক্যামেরার ফুটেজ নিলে সবাই ধরা খাবেন।’

বিষয়টি নিজের ফেসবুকে পেজেও লিখেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী এই কাউন্সিলর প্রার্থী। এ অভিযোগের বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, আর্থিক সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি তাঁর ক্ষেত্রে সঠিক নয়। যদি এ রকম কিছু হয়ে থাকে, তাহলে তা রিটার্নিং কর্মকর্তা যাচাই করবেন। আর নির্বাচনে হেরে গেলে অনেকে এ ধরনের অভিযোগ তোলেন। জাহেদ ও সোহেলকে তিনি চেনেন না বলেও দাবি করেন।

সংরক্ষিত–৪ নারী আসনের কাউন্সিলর প্রার্থী আবিদা আজাদ নির্বাচনের দিন ফল ঘোষণার সময় নিয়ন্ত্রণকক্ষে গিয়ে বারবার ভোট কারচুপির অভিযোগ আনেন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী তছলিমা বেগম ও কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। ২৭৮ নম্বর পাহাড়তলী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের কেন্দ্রভিত্তিক ফলে তছলিমা পেয়েছেন ২৩০ ভোট। তবে নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে ঘোষণা হয় ২২০০ ভোট। একই কলেজের ২৭৯ নম্বর মহিলা ভোটকেন্দ্রে তছলিমা প্রথমে ২৫২ পেয়েছেন বলে ঘোষণা করা হয়। পরে তা ১৯৭৫ ভোট হয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

চট্টগ্রাম শহরের ৯, ১০ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে সংরক্ষিত আসন-৪ ওয়ার্ড গঠিত। এই ওয়ার্ডের পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী আবিদা আজাদ বলেন, একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সহায়তায় তিনি ওই দুটি কেন্দ্রের ফলাফলের কপির ছবি তুলে রাখেন। কিন্তু নিয়ন্ত্রণকক্ষে গিয়ে ওই দুই কেন্দ্রে ভোট বেশি দেখিয়ে তাঁকে হারিয়ে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে তিনি আইনি পদক্ষেপ নেবেন।

৭৯ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আবদুল মোমেন আনোয়ারী প্রথম আলোকে বলেন, পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী যে অভিযোগ করেছেন, তেমন কিছু ঘটেনি। আর ২৭৮ নম্বর কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আবু তালেবকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। মোট সংগৃহীত (কাস্টিং) ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগ ভোট না পেলে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মোট ভোট পড়েছে ৪ লাখ ৩৬ হাজার ৩৯। শাহাদাত পেয়েছেন ৫২ হাজার ৪৮৯ ভোট। আওয়ামী লীগ প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন।

নির্বাচন এখন ডিক্লারেশন (ঘোষণা) নির্ভর হয়ে গেছে বলে মনে করেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রামের সম্পাদক আখতার কবির চৌধুরী। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ইভিএমে যে আস্থা রাখা দরকার ছিল, মানুষ তা রাখতে পারছে না। এখন আস্থা ও বিশ্বাসের জায়গা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। যদি এর সঙ্গে নির্বাচন কর্মকর্তাদের টাকা লেনদেনের বিষয়টি যোগ হয়, সেটা হবে গুরুতর। এর বিচার বিভাগীয় তদন্ত হওয়া দরকার।