কেন্দ্রীয় নেতাদের ‘নির্দেশে’ সহিংসতা

জাকারিয়া নোমান ফয়জী

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে সহিংসতার ঘটনায় করা মামলায় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির প্রচার সম্পাদক জাকারিয়া নোমান ফয়জী। আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার কৌশিক আহমেদের আদালতে তিনি এই জবানবন্দী দেন।

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে হাটহাজারীসহ কয়েকটি স্থানে গত ২৬ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত সহিংসতা চালানোর কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন জাকারিয়া নোমান। ভূমি অফিস, থানা ভবনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় নিজের জড়িত থাকার কথাও স্বীকার করেছেন তিনি। জবানবন্দিতে তাঁর কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু তথ্য পাওয়া গেছে।  তবে মামলার তদন্তের স্বার্থে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।

৫ মে কক্সবাজারের চকরিয়া থেকে জাকারিয়া নোমান ফয়জীকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তাঁকে হাটহাজারী থানার সহিংসতার মামলায় রিমান্ডে নেয় পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ তাঁকে আদালতে হাজির করা হলে তিনি জবানবন্দি দেন।

এদিকে বিয়ের প্রলোভনে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় জাকারিয়া নোমানকে গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আজ আবেদন করেছে হাটহাজারী থানার পুলিশ। আদালত কাল বুধবার শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন।

হারুন ইজাহারের রিমান্ড মঞ্জুর

হাটহাজারী থানার সহিংসতার একটি মামলায় হেফাজতের বিলুপ্ত কমিটির শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক হারুন ইজাহারের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ শুনানি শেষে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার কৌশিক আহমেদ এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে হাটহাজারী থানার পুলিশ হারুন ইজাহারকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানায়।

গত ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম নগরের লালখান বাজার জামেয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসা থেকে হারুন ইজাহারকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁকে হাটহাজারী থানায় হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরবিরোধী কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গত ২৬ মার্চ ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনার জেরে হাটহাজারী ও পটিয়ায় সহিংসতার ঘটনা ঘটে।