কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে এক লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে: শিল্পমন্ত্রী

সিরাজদিখান উপজেলায় কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক পরিদর্শনে এলে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নে
ছবি: প্রথম আলো

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই মুন্সিগঞ্জের কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের কাজ শেষ হবে। এতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এক লাখ মানুষের। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার ইছামতী নদীর তীরে কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা বলেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, করোনা ও বিভিন্ন কারণে প্রকল্পের কাজ কিছুটা থেমে গেলেও বর্তমানে এই প্রকল্পের কাজ আবার শুরু হয়েছে। এর সঙ্গে ইছামতী নদীর তীরে মরিচা মৌজায় মুদ্রণ ও প্লাস্টিকশিল্প দুটি প্রকল্প সমীক্ষা হয়ে গেছে। এই প্রকল্পগুলো ঘিরে মুন্সিগঞ্জের মানুষের বিশাল কর্মযজ্ঞ সৃষ্টি হবে। এ অঞ্চলের লোকজন কেউ কর্মবিহীন থাকবে না। মুন্সিগঞ্জে বাংলাদেশের নতুন একটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন তৈরি হচ্ছে। একে ঘিরে রাস্তাঘাট ও যোগাযোগব্যবস্থারও উন্নতি হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা, বিসিক চেয়ারম্যান মুহম্মদ মাহবুবুর রহমান, আঞ্চলিক পরিচালক আবদুল মতিন, অতিরিক্ত সচিব নূরুল আলম, যুগ্ম সচিব আনোয়ারুল আলম, উপসচিব হারুন অর রশিদ, মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ, কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের প্রকল্প পরিচালক মুহাম্মদ হাফিজুর রহমান, সিরাজদিখান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শরীফুল আলম তানভীর, সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসনিম আক্তার, সহকারী পুলিশ সুপার রাশেদুল ইসলাম প্রমুখ।

প্রকল্প পরিচালক হাফিজুর রহমান বলেন, সিরাজদিখানের চিত্রকোট ইউনিয়নের গোয়ালখালি, কামারকান্দা ও চিত্রকোট তিনটি মৌজায় ৩০৮ দশমিক ৩৩ একর জমিতে বিসিক কেমিক্যাল শিল্পপার্ক তৈরির কাজ চলছে। ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল প্রকল্প অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। যার নাম দেওয়া হয় মুন্সিগঞ্জ বিসিক কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক। ১ হাজার ৬১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে কাজটির ঠিকাদারি পায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী পরিচালিত সংস্থা ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান। এ বছরের জুন মাসে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। ২০২৩ সাল পর্যন্ত কাজ শেষের সময় চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।