কেরানীগঞ্জে ঈদের কেনাকাটা করতে গিয়ে দুজন ধর্ষণের শিকার

ধর্ষণ
প্রতীকী ছবি

ঢাকার কেরানীগঞ্জে ঈদের কেনাকাটা করতে গিয়ে দুজন ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন রাজাবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী একজনের বয়স ১৮ বছর ও অপরজনের বয়স ১৭ বছর বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী একজনের ছেলে বন্ধুসহ ৯ জনের নাম উল্লেখ করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে আশিক হোসেন (২৪) নামের ওই ছেলেবন্ধুসহ এজাহারভুক্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ ঘটনায় জড়িত অপর পাঁচজন পলাতক। আজ শনিবার বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভুক্তভোগী ওই দুজনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।

শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে পুলিশ রাজাবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে আশিকসহ তাঁর দুই বন্ধুকে আটক করে। আজ শনিবার এ ঘটনায় জড়িত আরও এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

এজাহার ও ভুক্তভোগীদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ওই দুজন পরস্পরের বান্ধবী। গতকাল সন্ধ্যার পর তারা কেরানীগঞ্জের আবদুল্লাহপুর এলাকার মার্কেটে ঈদের কেনাকাটা করতে যায়। বিষয়টি তাদের একজনের (১৮) ছেলেবন্ধু আশিক জানতে পারেন। পরে আশিক আবদুল্লাহপুর এলাকায় গিয়ে তাদের সঙ্গে দেখা করে দুজনকে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে রাজাবাড়ি এলাকার নির্জন স্থানের একটি ছাপরায় নিয়ে যান। সেখানে আশিকের আরও আট বন্ধু ছিলেন। একপর্যায়ে আশিকসহ ৯ জন ওই ২ জনকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। তাঁদের কাছ থেকে ছাড়া পেয়ে তারা রাত ১০টার দিকে বাসায় গিয়ে ঘটনাটি পরিবারকে জানায়। দুই পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি থানায় জানালে গতকাল দিবাগত রাত দেড়টার দিকে পুলিশ রাজাবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে আশিকসহ তাঁর দুই বন্ধুকে আটক করে। আজ এ ঘটনায় জড়িত আরও এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মোহাম্মদ নয়ন বলেন, ধর্ষণের শিকার দুজনের মধ্যে একজনের সঙ্গে আশিকের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি তাদের সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়। তিনি তার এক বান্ধবীকে নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে গেলে আশিক তাদের দুজনকে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে রাজাবাড়ি এলাকায় নিয়ে ৯ জন মিলে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় দুই পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে।

পরিদর্শক নয়ন আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আশিকসহ গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় জড়িত অপর পাঁচজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।