কেরানীগঞ্জে মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের উদ্বোধন, থাকছে নানা সুবিধা

কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে নারী বন্দীদের জন্য ‘মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার’টি আজ রোববার উদ্বোধন করা হয়েছে
ছবি: প্রথম আলো

নারী বন্দীদের জন্য আধুনিক সব সুবিধা নিয়ে মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রোববার সকালে তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে কেরানীগঞ্জের রাজেন্দ্রপুর এলাকায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কমপ্লেক্সে স্থাপিত মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারটি উদ্বোধন করেন।

কারা মহাপরিদর্শক (আইজি–প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোমিনুর রহমান মামুন জানিয়েছেন, কারাগারটিতে কিশোরীদের জন্য আলাদা ভবন রয়েছে। যে বন্দীদের সন্তান রয়েছে, তাঁদের জন্য ডে কেয়ার সেন্টার (দিবাযত্ন কেন্দ্র) রয়েছে। এখানে হাসপাতাল, বিদ্যালয়, পাঠাগার, ওয়াশিং প্ল্যান্ট এবং মানসিকভাবে অসুস্থ বন্দীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আধুনিক সুযোগ–সুবিধা দিয়ে নারী বন্দীদের এখানে রাখা হবে।

উদ্বোধনের পর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শনে আসেন কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোমিনুর রহমান। আজ রোববার দুপুরে
ছবি: প্রথম আলো

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারটি উদ্বোধনের পর পরিদর্শনে এসে কারা মহাপরিদর্শক এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কারা উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি–প্রিজন) তৌহিদুল ইসলাম, এআইজি (প্রিজন) সাজ্জাদ হোসেন, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার সুভাষ কুমার দাশ, জেলার মাহবুবুল ইসলাম প্রমুখ।

কারা মহাপরিদর্শক সাংবাদিকদের বলেন, ‘সারা দেশে চার হাজার নারী বন্দী রয়েছেন। এই কারাগারে ৩০০ নারী বন্দীকে রাখা যাবে। প্রয়োজনে এর চেয়ে বেশিও রাখা যাবে। করোনার কারণে কাশিমপুর কারাগার থেকে এখানে নারী বন্দী এখনো স্থানান্তর করা যায়নি। দ্রুত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আমরা চেষ্টা করব যত দ্রুত সম্ভব এখানে নারী বন্দীদের স্থানান্তর করতে।’

উদ্বোধনের পর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শনে আসেন কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোমিনুর রহমান। আজ রোববার দুপুরে
প্রথম আলো

কারা মহাপরিদর্শক মোমিনুর রহমান বলেন, সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে বন্দীদের যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, তাঁদের সেটির সনদ দেওয়া হবে। ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৪৯ হাজার বন্দীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ২৪ হাজার বন্দীর মধ্যে ৫০ শতাংশ লভ্যাংশের ৭০ লাখ টাকা বণ্টন করে দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা মুক্ত হওয়ার পর তাঁদের মনিটরিং করে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নারী বন্দীদের কাঁথা, কাপড়, বুটিক, এমব্রয়ডারিসহ অন্যান্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সাজাপ্রাপ্ত বন্দীদের এসব প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ ছাড়া যাঁরা সাজাপ্রাপ্ত নন, তাঁরা যদি উৎসাহিত হন, তবে তাঁদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।