কেশবপুরে বিস্ফোরণে শিশু নিহতের ঘটনায় যুবলীগ নেতা রিমান্ডে

কেশবপুরে বিস্ফোরণে আট বছরের শিশু নিহত হওয়ার ঘটনার মামলায় বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ
প্রথম আলো

যশোরের কেশবপুরে বিস্ফোরণে আট বছরের শিশু নিহত হওয়ার ঘটনার মামলায় গ্রেপ্তার যুবলীগ নেতা ফারুক হোসেনকে (৪২) আজ শুক্রবার দুপুরে তাঁকে আদালতে তোলা হয়। এ সময় আদালত তাঁর দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁকে গ্রেপ্তার করে কেশবপুর থানা-পুলিশ। ফারুক হোসেন বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক।

এ ঘটনায় আহত মারুফার অবস্থা কিছুটা ভালো হলেও শিশুটির মায়ের অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক।

নিহত শিশুটির নাম আবদুর রহমান। সে উপজেলার বাউশলা গ্রামে মিজানুর রহমানের ছেলে। মিজানুর রহমান অসুস্থ হয়ে দীর্ঘদিন থেকে বাড়িতে আছেন।

এ বিস্ফোরণের ঘটনায় শিশু আব্দুর রহমান নিহত ছাড়াও তার মা নিলুফার বেগম ও বোন মারুফা বেগম খুলনা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে নিলুফার বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কেশবপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লিখন কুমার সরকার বলেন, এ ঘটনায় সন্দেহজনকভাবে যুবলীগ নেতা ফারুক হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যশোর আদালতে আজ ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার বিষয়ে ফারুক হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনা সম্পর্কে জানা যাবে। এসআই লিখন বলেন, শিশুটির মা নিলুফার বেগম ও বোন মারুফা বেগম খুলনা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে নিলুফার বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

দোষী সাব্যস্ত হলে ফারুকের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিশ্বাস শহিদুজ্জামান, কেশবপুর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বেলা একটার দিকে উপজেলার বাউশলা গ্রামে মিজানুর রহমানের শ্যালো মেশিন ঘরে ধান ঝাড়ার মেশিন রাখা ছিল। সেই মেশিন বের করে এনে তার সঙ্গে রাখা একটি থলির মধ্যে কী আছে, তা দেখতে গিয়ে একটি জর্দার কৌটা পান। সেটি হাত থেকে পড়ে গিয়ে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে মিজানুর রহমানের আট বছরের শিশুসন্তান আবদুর রহমান ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এ সময় আহত হন মিজানুর রহমানের স্ত্রী নিলুফার বেগম (৪০) ও চার বছরের শিশুকন্যা মারুফা খাতুন। তাঁদের প্রথমে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

কেশবপুর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিশ্বাস শহিদুজ্জামান গ্রেপ্তার ফারুক হোসেনের দলীয় পদ নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দোষী সাব্যস্ত হলে ফারুকের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।