কেশবপুরে মাঠ থেকে অস্থায়ী হেলিপ্যাড না সরানোয় খেলাধুলা বন্ধ

  • বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, হেলিপ্যাড অপসারণের জন্য ইউএনওসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে বিষয়টি জানানো হয়েছে। কিন্তু প্রতিকার মেলেনি।

কেশবপুর সরকারি পাইলট উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী হ্যালিপ্যাড। গত সোমবারের ছবি
প্রথম আলো

যশোরের কেশবপুর সরকারি পাইলট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে ছয় মাস আগে অস্থায়ী হেলিপ্যাড নির্মাণ করা হয়। কিন্তু সেটি এখনো অপসারণ করা হয়নি। এতে মাঠে খেলাধুলা করতে পারছে না শিক্ষার্থীরা।

বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, হেলিপ্যাড অপসারণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ (ইউএনও) বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে বিষয়টি জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৪ জুলাই জাতীয় সংসদের উপনির্বাচন উপলক্ষে কেশবপুরে আসেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তখন হেলিকপ্টার নামার জন্য সরকারি পাইলট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে অস্থায়ী হেলিপ্যাড তৈরি করে উপজেলা প্রকৌশল কার্যালয়।

ছয় মাস পরও অস্থায়ী হেলিপ্যাডটি অপসারণ করা হয়নি। এতে বিদ্যালয়ের মাঠে সব ধরনের খেলাধুলা বন্ধ হয়ে গেছে। গত সোমবার গিয়ে দেখা যায়, খেলার মাঠের ভেতর ইট দিয়ে একটি হেলিপ্যাডটি তৈরি করা হয়েছে। মাঠের পূর্ব দিকে হেলিপ্যাডে যাওয়ার জন্য ইটের রাস্তা রয়েছে।

এ ছাড়া কেশবপুর-রামচন্দ্রপুর সড়কের উন্নয়নকাজের মাঠের ভেতর পাথর স্তূপ করে রাখা হয়েছে। সেখানে পাথর ভাঙা ও পিচ দিয়ে কার্পেটিং মেশানোর যন্ত্রও রয়েছে।

কথা হয় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাসিন ইকবাল ও পল্লব বিশ্বাসের সঙ্গে। তারা আগে নিয়মিত এই মাঠে খেলাধুলা করত। তারা বলে, মাঠের মধ্যে হেলিপ্যাড তৈরি হলে খেলা করব কীভাবে? এ বিষয়ে অধ্যক্ষ স্যারকে বলেছি। তারপরও হেলিপ্যাডটি অপসারণ করা হচ্ছে না।’

আগে স্থানীয় লোকজন প্রতিদিন সকালে এখানে খেলাধুলা করতেন। তাদের খেলাও বন্ধ হয়ে গেছে। উজ্জ্বল রায় নামের একজন বলেন, ‘আমরা অনেকে প্রতিদিন খেলা করতাম। এখন সব বন্ধ রয়েছে। হেলিপ্যাড সরিয়ে নেওয়ার জন্য ইউএনওর কাছে বলেছি। তারপরও সেটি অপসারণ করা হচ্ছে না।’

এ বিষয়ে কেশবপুরে সরকারি পাইলট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ আসাদুজ্জামান বলেন, নির্বাচনের পরই হেলিপ্যাডটি অপসারণের জন্য ইউএনওকে বলেছি। পরে নতুন ইউএনওকে বিষয়টি জানিয়েছি। তিনি এ বিষয়ে দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

খেলার মাঠে উন্নয়নসামগ্রী রাখার বিষয়ে অধ্যক্ষ বলেন, ‘রাস্তা তৈরির জন্য সাময়িকভাবে নির্মাণসামগ্রী রাখার অনুমতি দিয়েছি। ১০-১৫ দিনের মধ্যেই মাঠ খালি হয়ে যাবে।’

অস্থায়ী হেলিপ্যাড অপসারণের দায়িত্ব মেনে নিয়ে উপজেলা প্রকৌশলী সায়ফুল ইসলাম বলেন, তহবিল না থাকায় সেটি অপসারণ করা যাচ্ছে না। তিনি ইউএনওর সঙ্গ কথা বলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন।

মাঠে নির্মাণসামগ্রী রাখার বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী আরও বলেন, কাছাকাছি কোনো ইয়ার্ড না থাকায় বিদ্যালয় মাঠে নির্মাণসামগ্রী রাখা হয়েছে। তবে সব সময় বিদ্যালয় মাঠে নির্মাণসামগ্রী রাখার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করা হয়।

এ বিষয়ে ইউএনও এম এম আরাফাত হোসেন বলেন, স্থানীয় সাংসদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছি। দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।