কেশবপুরে স্কুলবাসে হামলা, শিক্ষিকা ও পাঁচ ছাত্রী আহত

যশোর জেলার মানচিত্র


যশোরের কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে স্কুলছাত্রীদের বাসে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে এক শিক্ষিকা ও পাঁচ ছাত্রী আহত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কেশবপুরের পাঁজিয়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ইতিমধ্যেই দুই যুবককে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

শিক্ষক ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সকালে কাটাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০০ শিক্ষার্থী কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনার টিকা নিতে যায়। তাদের মধ্যে ৭৮ জন ছাত্রী ছিল। স্কুল কর্তৃপক্ষের ভাড়া করা একটি বাসে করে ছাত্রীদের বাড়ি ফেরার পথে পাঁজিয়া বাজারে ছয়–সাতজন যুবক বাসটির গতি রোধ করেন। ওই যুবকেরা বাসটির চালক আবুল হোসেনকে (৫০) বেধড়ক পেটাতে থাকলে শিক্ষক মহেন্দ্র নাথ বাইন ও উজ্জল বৈরাগী ঠেকাতে যান। তখন তাঁদেরও মারধর শুরু করেন তাঁরা। সহকর্মীদের রক্ষা করতে গিয়ে রাখী নামের এক নারী শিক্ষক আহত হন। এ সময় ভয়ে ছাত্রীরা চিৎকার করলে ওই যুবকেরা ছাত্রীদের চড়-থাপ্পড় দেওয়া শুরু করেন। তখন ছাত্রীরা ভয়ে দ্রুত বাস থেকে নেমে দৌড় দেয়। কয়েকজন ছাত্রী গাড়ির মধ্যেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।

কাটাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মলয় কুমার ব্রহ্ম অভিযোগ করেন, বখাটেরা ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি করেছে। ভয়ে ২০ ছাত্রী জ্ঞান হারায়। এ ঘটনার নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। এ ঘটনায় পাঁচ ছাত্রী আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক মলয় কুমার। এ ঘটনায় কেশবপুর থানায় অভিযোগ দিয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বোরহান উদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, এখলাস ও খায়রুল নামের দুজনেক আটক করা হয়েছে। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। সব আসামিকে গ্রেপ্তার করা হবে।