কেশবপুরে হামলার শিকার ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যুর ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

নিহত ছাত্রলীগ নেতা শাহাদাৎ হোসেন সোহান

যশোরের কেশবপুরে ভিজিএফের টাকা বিতরণে অনিয়মের প্রতিবাদ করে হামলার শিকার হওয়া শাহাদাৎ হোসেন সোহানের (২৫) মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। ওই মামলার প্রধান আসামি মেহেদি হাসানকে (৩০) আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই মামলার দ্বিতীয় আসামি কেশবপুর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবাদত সিদ্দিকী পলাতক। তাঁকে ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে।

এদিকে, সোহানের লাশ খুলনা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে কেশবপুর ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাড়িতে এসে পৌঁছায়। এ সময় পরিবারের লোকসহ এলাকাবাসী কান্নায় ভেঙে পড়েন। সন্ধ্যা ৬টায় জানাজা শেষে তাঁর লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

এ হত্যার বিচার চেয়ে এলাকার দেয়ালে দেয়ালে পোস্টার লাগানো হয়েছে। সেখান হত্যার দায়ে অভিযুক্ত করে কাউন্সিলর এবাদত সিদ্দিকীর ফাঁসির দাবি করা হয়েছে। এবাদত সিদ্দিকীর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তাঁর বাড়িতে কোনো লোক নেই। তাঁর সঙ্গে কথা বলতে মুঠোফোনে কল করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এলাকাবাসী বলেন, সোহানের মৃত্যুর পরই কাউন্সিলর এবাদত সিদ্দিকী পরিবারসহ গা ঢাকা দিয়েছেন।

কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উদ্দীন বলেন, শুক্রবার হামলার ঘটনার দিনই সোহানের চাচা আবু কালামের দায়ের করা হামলা মামলাটি হত্যা মামলায় পরিবর্তিত হয়েছে। ওই মামলার ১ নম্বর আসামি মেহেদি হাসানকে আজ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই মামলার ২ নম্বর আসামি পলাতক কাউন্সিলর এবাদত সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

গত শুক্রবার পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ভিজিএফের টাকা দেওয়ার সময় কাউন্সিলর এবাদত সিদ্দিকী বেছে বেছে তাঁর সমর্থকদের টাকা দিলে পৌর নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী আবু কালামের লোকেরা প্রতিবাদ করেন। এ সময় এবাদত সিদ্দিকীর লোকেরা তাঁদের ওপরে হামলা চালান। এতে ২০ জন আহত হন। এ সময় ছাত্রলীগের নেতা সোহান গুরুতর আহত হন। তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হলে পাঁচ দিন পর গতকাল বুধবার গভীর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।