কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসিকে গ্রেপ্তারের দাবি জানালেন কাদের মির্জা

কোম্পানীগঞ্জে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।
ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ রোমনকে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করে তাঁকে গ্রেপ্তার দাবি করেছেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজের অনুসারী উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আইয়ুব আলীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ দাবি করেন তিনি।

আবদুল কাদের মির্জা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘এখানে রূপগঞ্জের সন্ত্রাসী ছাত্রদলের সাবেক দুর্ধর্ষ ক্যাডার ওসি সাজ্জাদ রোমন আসার পর থেকে কোম্পানীগঞ্জে গুপ্ত হত্যাসহ নানা ধরনের অনিয়ম শুরু হয়েছে। কোম্পানীগঞ্জের মানুষ অতিষ্ঠ। কিছুদিন আগে আপনারা শুনেছেন, দক্ষিণ এলাকায় একটা অটোরিকশা চুরি করার সময় পুলিশ ধরা পড়েছে। আজকে মানুষের কাছে প্রতীয়মাণ হয়েছে, এই অটোরিকশা পুলিশ চুরি করেছে, আর একটা হিন্দু নিরীহ ছেলে...অটোরিকশা চালিয়ে সংসার চালায়, এই ছেলেকে হত্যা করে তার অটোরিকশাটি নিয়ে গেছে। ওসি সাজ্জাদ ছেলেটির বাবার কাছ থেকে যেনতেন একটা মামলা নিয়েছে। কিন্তু কোনো প্রতিকার নাই। এই ওসি সাজ্জাদ এখানে থাকলে এটার ন্যায়বিচার পাওয়া যাবে না।’

বসুরহাট পৌরসভার এই মেয়র ওসির গ্রেপ্তার দাবি করে বলেন, ‘ওসি সাজ্জাদ, রূপগঞ্জে যখন সাত মার্ডার হয়েছে, তখন সে সেখানে ছিল। সে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী এবং পুলিশের থেকেও সে ট্যাক্স নেয়, এখানকার পুলিশেরা সেটা স্বীকার করবে। এত দুর্ধর্ষ, এত অনিয়ম করছে...ওসি সাজ্জাদকে অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার করে যদি রিমান্ডে নেওয়া হয়, তাহলে এই ছেলের হত্যার ঘটনার প্রকাশ পাবে। আমরা তার গ্রেপ্তার চাই।’

আবদুল কাদের মির্জার বক্তব্যের একটা অংশ তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে সরাসরি প্রচার করা হয়। এ সময় মুছাপুর ইউপির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী তাঁর পাশে দাঁড়ানো ছিলেন।

আবদুল কাদের মির্জার বক্তব্যের বিষয়ে সন্ধ্যায় মুঠোফোনে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ওসি সাজ্জাদ রোমন প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ওসি হিসেবে যোগ দেওয়ার পর কোম্পানীগঞ্জে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সহিংসতামুক্ত ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠানের নজির স্থাপিত হয়েছে। মেয়রের বক্তব্যকে কোম্পানীগঞ্জের মানুষই হাস্যকর বলে মন্তব্য করছেন।