কোম্পানীগঞ্জে কাদের মির্জার ‘ফাঁসি’ চেয়ে পোস্টারিং

আবদুল কাদের মির্জার ফাঁসি দাবি করে সাঁটানো পোস্টার। আজ শনিবার দুপুরে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চাপরাশিরহাট বাজারে
ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ‘ফাঁসি’ দাবি করে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে কে বা কারা উপজেলার চাপরাশিরহাট, বটতলা ও বামনী বাজার এলাকায় এসব পোস্টার সাঁটান। তবে আজ শনিবার সকালের দিকে কিছু কিছু এলাকা থেকে কাদের মির্জার অনুসারীরা পোস্টারগুলো ছিঁড়ে ফেলেছেন বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পোস্টারে লেখা রয়েছে, ‘সাংবাদিক মুজাক্কির ও আলাউদ্দিনের হত্যার নির্দেশদাতা খুনি মির্জার ফাঁসি চাই। প্রচারে কোম্পানীগঞ্জের সর্বস্তরের জনগণ।’ পোস্টারে মাঝখানে ফাঁসির দড়ির মধ্যে কাদের মির্জার ছবি দেওয়া হয়েছে। আর ওপরে সম্প্রতি আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় নিহত সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির ও শ্রমিক লীগনেতা আলাউদ্দিনের ছবি দেওয়া হয়েছে। কে বা কারা এসব পোস্টার লাগিয়েছে, সে সম্পর্কে স্থানীয়ভাবে কেউ কোনো তথ্য দিতে না পারলেও ধারণা করা হচ্ছে কাদের মির্জার বিরোধীপক্ষের লোকজনই ওই কাজটি করেছে।

গত ৩১ ডিসেম্বর থেকে সরকার, নির্বাচন, দলের নেতা ও সাংসদদের বিরুদ্ধে নানা ‘সত্যবচনে’ আলোচনায় আসেন সেতুমন্ত্রীর ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা। সেই সত্যবচন ১৯ ফেব্রুয়ারি কোম্পানীগঞ্জের চাপরাশিরহাট বাজারে আবদুল কাদের মির্জা ও মিজানুর রহমান বাদল সমর্থকদের মধ্যে সংঘাতে রূপ নেয়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে তিনি মারা যান। এরপর ৯ মার্চ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভা চত্বরে রাত ৯টার দিকে উভয় পক্ষের মধ্যে পুনরায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আলাউদ্দিন নামে যুবলীগের এক কর্মীও মারা যান। তাঁর নাম আলাউদ্দিন (৩২)।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, কাদের মির্জার ফাঁসি দাবি করে কোম্পানীগঞ্জের বটতলা, চাপরাশিরহাট, বামনী বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে পোস্টার লাগানো হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন। তবে কে বা কারা ওই সব পোস্টার লাগিয়েছে, তা জানা যায়নি।