কোম্পানীগঞ্জে কিশোর-তরুণদের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৫

প্রতীকী ছবি

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে কিশোর-তরুণদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। গতকাল সোমবার রাত সোয়া ১০টার দিকে পেশকারহাট রাস্তারমাথা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন।

সংঘর্ষের সময় বাজারের ১০-১২টি দোকান এবং তিনটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুর করা হয়। পরে খবর পেয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার সকালে বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বাহাদুর বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিন আগে ফেসবুকে মন্তব্য করা নিয়ে স্থানীয় দুই তরুণ মো. হৃদয় হোসেন ও মো. শুভর মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এর জের ধরে গত রোববার বিকেলে হৃদয় ও শুভর অনুসারীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় বাজারের ব্যবসায়ীরা তাঁদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে ওই ঘটনার জেরে গতকাল রাতে দুই পক্ষের মধ্যে আবার বাজারে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় মো. আশিক (২২), মো. রিংকু (২১), মো. বিপ্লবসহ (২৫) উভয় পক্ষের কমপক্ষে পাঁচজন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় বাজারে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এ ছাড়া সংঘর্ষের সময় বাজারের ব্যবসায়ী মো. বাহাদুরের ফলের দোকানসহ ১০-১২টি দোকানে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। বসুরহাট-চাপরাশিরহাট-মুছাপুর সড়ক দিয়ে চলাচলকারী তিনটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা এবং দুইটি মোটরসাইকেলে ভাঙচুর করা হয়। পরে থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, একটি ফেসবুক পোস্টে মন্তব্য করা নিয়ে দুই কিশোর–তরুণ গ্রুপের বিরোধ চলছিল। এর জের ধরেই দুই পক্ষের মধ্যে গতকাল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পরিদর্শক এস এম মিজানুর রহমান বলেন, হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বাহাদুর বাদী হয়ে আজ সকালে থানায় একটি মামলা করেছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ঘটনাস্থল এলাকায় পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।