কোয়ারেন্টিনে না রেখে ভারতফেরত চারজনকে পাঠানো হয়েছে বগুড়ার বাড়িতে

বগুড়া জেলার মানচিত্র

ভারত থেকে ফেরা বগুড়ার একই পরিবারের চার সদস্যকে কোয়ারেন্টিন না রেখে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়া একই পরিবারের এই চার সদস্য গত শনিবার বেনাপোল স্থলবন্দর হয়ে দেশে ফেরেন। এরপর সেখানেই স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় তাঁদের কোয়ারেন্টিনে না রেখে বগুড়ায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে আজ সোমবার স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ বাড়িতে গিয়ে চারজনকেই নিজ বাড়িতে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করেছে।

বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আজিজুর রহমান বলেন, ভারতে চিকিৎসা ভিসায় গিয়েছিলেন বগুড়ার নারুলী এলাকার মাহবুবর রহমান, তাঁর পরিবারের সদস্য লাভলী আক্তার, ওয়াসিউল ইসলাম ও মাহবুবা রহমান। গত শনিবার রাতে তাঁরা বেনাপোল স্থলবন্দর হয়ে দেশে প্রবেশ করেন। ইমিগ্রেশনে আনুষ্ঠানিকতার পর তাঁদেরকে স্থানীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় কোয়ারেন্টিনে রাখার কথা ছিল। কিন্তু তা না করে বন্দর কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকতার পর ওই চারজনকে বগুড়ায় পাঠিয়ে দেয়।

ভারতফেরত কোনো ব্যক্তি দেশে ফিরলে যে স্থলবন্দর হয়ে প্রবেশ করেছেন, সেখানেই স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকার কথা ছিল।
সামির হোসেন, বগুড়া সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা

ইউএনও বলেন, বিষয়টি জানার পর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সামির হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে আজ শহরের নারুলী এলাকায় ভারতফেরত ওই পরিবারের বাড়িতে গিয়ে তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। জ্বর, কাশি বা শারীরিক কোনো সমস্যা না থাকায় তাঁদের নিজ বাড়িতেই ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। তাঁরা কোয়ারেন্টিন ভঙ্গ করছেন কি না, তা স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ তদারক করবে। খাদ্য সরবরাহ, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির প্রয়োজন হলে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলরকে তা ব্যবস্থা করতে বলা হয়।

বগুড়া সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সামির হোসেন বলেন, ভারতফেরত কোনো ব্যক্তি দেশে ফিরলে যে স্থলবন্দর হয়ে প্রবেশ করেছেন, সেখানেই স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকার কথা ছিল। কেউ যদি কোয়ারেন্টিনে না থেকে বগুড়ায় ফেরেন, তবে স্বাস্থ্য বিভাগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকার কথা বলা হয়েছে। তবে স্বাস্থ্যগত সমস্যা না থাকায় একই পরিবারের চার সদস্যকে নিজ বাড়িতেই ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।