ক্রেতা সেজে পাখিশিকারিকে আটক করে সাজা

ফাইল ছবি

হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে ক্রেতা সেজে দুই পাখিশিকারিকে আটক করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে আটক ব্যক্তিদের ১৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন তিনি। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার নোয়াগড় এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়।

উপজেলা প্রশাসন ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ভাটি অঞ্চলে বর্তমানে শীত পড়ায় আজমিরীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাওরে সম্প্রতি পরিযায়ী পাখি এসেছে। তবে এলাকার কিছু পাখিশিকারিদের কারণে পাখিরা নির্ভয়ে সেখানে অবস্থান করতে পারছে না। পাখিশিকারিরা নানা কৌশলে পাখি শিকার করছেন। এর আগে উপজেলা প্রশাসন হাওরে বেশ কয়েকবার অভিযান চালালেও পাখিশিকারিরা পালিয়ে যান। ফলে ভিন্ন কৌশল নেয় প্রশাসন। আজমিরীগঞ্জ ইউএনও মতিউর রহমান খান নিজে ক্রেতা সেজে আজ শুক্রবার হাওরে যান। তাঁর সঙ্গে থাকা অন্যান্য লোককে ঘটনাস্থল থেকে একটু দূরে রাখেন। ইউএনও উপজেলার নোয়াগড় ও গড়হাটি এলাকায় গিয়ে হাতেনাতে পাখিসহ আটক করেন আলমগীর মিয়া (২৩) ও লোতো মিয়া (২০) নামের দুই ব্যক্তিকে। তাঁদের বাড়ি উপজেলার নোয়াগড় এলাকায়। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় বকসহ নানা জাতের ১২টি পাখি। পরে ঘটনাস্থলেই ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে আটক দুই ব্যক্তিকে ১৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন ইউএনও।

ইউএনও মতিউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, আটক ব্যক্তিদের বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইন–২০১২ অনুযায়ী ১৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। জব্দ করা পাখিগুলো এ সময় আকাশে অবমুক্ত করে দেওয়া হয়।

আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন তরফদার বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের আজ দুপুরে হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।