ক্ষোভ থেকেই ভাবি–ভাই ও তাঁদের সন্তানদের খুন: পুলিশ

লাশ
প্রতীকী ছবি

ভাবি ও ভাই বকাবকি করতেন। পরিবারে টাকাপয়সা দিয়ে সহযোগিতা করতে না পারায় দিনের পর দিন খাওয়ার সময় তাঁরা রায়হানুলকে গালিগালাজ করে আসছিলেন। অনেক সময় ঠিকমতো তাঁকে খেতেও দিতেন না। এ ধরনের ক্ষোভ থেকে রায়হানুল তাঁর ভাই-ভাবিসহ দুই সন্তানকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করেছেন। হত্যা মামলার আসামি রায়হানুল পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এসব কথা বলেছেন বলে বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানিয়েছেন খুলনা বিভাগের পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) উপমহাপরিদর্শক ওমর ফারুক। বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে সাতক্ষীরা সিআইডি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনটির আয়োজন করা হয়।

এদিকে রায়হানুলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বুধবার দুপুরে বাড়ির সামনের বড় পুকুর থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাপাতি ও একটি তোয়ালে উদ্ধার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঘটনার দিন দিবাগত রাত তিনটার পর খালি গায়ে একটি তোয়ালে পরে মাংস কাটার কাজে ব্যবহৃত চাপাতি নিয়ে একতলা ভবনের কার্নিশ বেয়ে দোতলায় উঠেন রায়হানুল। চিলেকোঠা দিয়ে ঘরের ভেতর ঢুকে প্রথমে তাঁর ভাইকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করেন। এ সময় তাঁর হাতের রগ কেটে দেন ও পা দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখেন। পরে ভাবিকে কুপিয়ে হত্যা করেন তিনি। এ সময় তাঁদের দুই শিশু সন্তান জেগে গেলে তাদেরও কুপিয়ে হত্যা করেন। হত্যার পর রায়হানুল বাড়ির সামনের পুকুরে গোসল করে ও তোয়ালে ধুয়ে ফেলেন।

১৪ অক্টোবর গভীর রাতে সাতক্ষীরার কলারোয়ার খলসি গ্রামে মাছ ব্যবসায়ী শাহিনুর ইসলাম (৪০), তাঁর স্ত্রী সাবিনা খাতুন (৩৫), ছেলে সিয়াম হোসেন (১০) ও তাসলিমাকে (৮) গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পর শাহিনুরের শাশুড়ি ময়না খাতুন বাদী হয়ে কলারোয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক শফিকুল ইসলামকে। হত্যার পরের দিন সকালে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয় নিহত শাহিনের ছোট ভাই রায়হানুলকে। পরের দিন রায়হানুলকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

আরও পড়ুন

সাতক্ষীরা সিআইডি বিশেষ পুলিশ সুপার আনিচুর রহমান বলেন, রায়হানুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৮ অক্টোবর আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার কলারোয়া উপজেলার খলিসা গ্রামের আবদুর রাজ্জাক, একই গ্রামের আবদুল মালেক ও ধানঘরা গ্রামের আসাদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার আবদুল মালেককে সাত দিনের রিমান্ডের জন্য আদালতের কাছে আবেদন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন