কয়েক মিনিটে ঘরহারা দুই শতাধিক পরিবার

নওগাঁর আত্রাই উপজেলার দুই গ্রামের ওপর দিয়ে মঙ্গলবার রাতে টর্নেডো বয়ে যায়। এ সময় অনেক ঘরের টিনের চাল উড়িয়ে নেওয়া হয়। অনেক ঘর বিধ্বস্ত হয়ে যায়। বুধবার তোলা ছবিপ্রথম আলো

নওগাঁর আত্রাইয়ে টর্নেডোর আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে দুটি গ্রামের দুই শতাধিক কাঁচা ও আধা পাকা ঘরবাড়ি। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার পাঁচুপুর ইউনিয়নের পাঁচুপুর ও জগদাশ গ্রামে টর্নেডো আঘাত হানে। এ সময় গাছ ও দেয়ালচাপায় শিশুসহ কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। টর্নেডোয় বিদ্যুতের পাঁচটি খুঁটি উপড়ে পড়ায় এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

গাছ ও দেয়ালচাপায় আহত পাঁচজনকে আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিটের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সড়কে পড়ে থাকা গাছপালা অপসারণ করছেন।

খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আকস্মিক টর্নেডোর আঘাতে দুই গ্রামের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সহায়তা দেওয়ার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে।
আফসার আলী, চেয়ারম্যান, পাঁচুপুর ইউনিয়ন পরিষদ, আত্রাই, নাটোর

ঝড়ের সময় গাছচাপায় আহত জগদাশ গ্রামে জালাল হোসেন জানান, গতকাল রাত আটটার দিকে আকস্মিক প্রবল বেগে বাতাসে তাঁর ঘরের চাল উড়ে যায় এবং ঘরের পাশে থাকা গাছের ডাল ভেঙে শরীরের ওপর পড়ে। আট–দশ মিনিট স্থায়ী এই ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যায় বসতভিটা। টর্নেডোয় দুই শতাধিক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

উপজেলার পাঁচুপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আফসার আলী প্রামাণিক বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আকস্মিক টর্নেডোর আঘাতে দুই গ্রামের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সহায়তা দেওয়ার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে।’

নওগাঁর আত্রাইয়ে টর্নেডোর আঘাতে বিধ্বস্ত হওয়া ঘর । বুধবার উপজেলার পাঁচুপুর গ্রামে।
প্রথম আলো

আত্রাই উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা নিতাই চন্দ্র ঘোষ জানান, ‘গতকাল রাতের টর্নেডো আঘাত আনায় সড়কে গাছপালা পড়ে যোগাযোগব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আমাদের একটি ইউনিট সেগুলো সরিয়ে ফেলে এবং আহত ব্যক্তিদের উদ্ধারে সহায়তা করে।’

এ বিষয়ে আত্রাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ছানাউল ইসলাম বলেন, তিনি আজ বুধবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। টর্নেডোয় ক্ষতিগ্রস্ত অনেক পরিবার এখনো খোলা আকাশের নিচে আছেন। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের শুকনা খাবার দেওয়া হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। যাঁদের ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে, তাঁদের ঘর নির্মাণের জন্য সহায়তা করা হবে।