খাগড়াছড়িতে বিহারে ঢুকে বৌদ্ধ ভিক্ষুকে হত্যা

লাশ
প্রতীকী ছবি

খাগড়াছড়ি সদরের গুগড়াছড়ি এলাকার ধর্মসুখ বিহারের অধ্যক্ষ বিশুদ্ধা মহাথেরো (৫২) ভান্তেকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল রোববার গভীর রাতে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে ধারণা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। হত্যাকারীরা ভান্তের দুটি মুঠোফোনসহ বিহারের মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে গেছে।

ভান্তের হত্যাকাণ্ডের খবর শুনে সকাল থেকে হাজারো মানুষ ভিড় করেন খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি সড়ক লাগোয়া গুগড়াছড়ি ধর্মসুখ বৌদ্ধবিহারে। ৩০ বছর ধরে এই ধর্মগুরু ধর্ম প্রচারের পাশাপাশি দরিদ্রদের শিক্ষাসহায়তার জন্য অনেকের কাছে দানবীর ভান্তে নামে পরিচিত ছিলেন। তাঁরা প্রশাসনের কাছে আসামিদের দ্রুত শনাক্ত ও হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান।

খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুর রশিদ বলেন, মরদেহ দেখে ধারালো কিছুর আঘাতে ভিক্ষুকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অপরাধীদের শনাক্ত করার চেষ্টা শুরু হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।

ভান্তের ছোট ভাই পাইঅং মারমা বলেন, বিশুদ্ধা ভান্তে গতকাল সকালে জেলা সদরের ভাইবোনছড়া এলাকার একটি বৌদ্ধবিহারের একজন ভিক্ষুর দাহক্রিয়ায় যোগ দিয়ে রাত আটটার দিকে ধর্মসুখ বিহারে ফেরেন। বিহারে তিনি একাই রাতে ছিলেন। সকাল সাতটার দিকে সেখানকার লোকজন খাবার দিতে গিয়ে দেখেন, ভান্তে তাঁর নিজের শয়নকক্ষে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। তাঁর মাথার বাঁ পাশে ও পিঠে ধারালো কিছুর আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।

খাগড়াছড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আম্যে মারমা বলেন, খবর পেয়ে তিনি ভান্তেকে দেখতে যান। তখন মরদেহের কাছে একটি ইটের ভাঙা দুটি অংশ দেখতে পান। তাঁর ধারণা, ডাকাতি করতে এসে ভান্তেকে ইটের আঘাতে হত্যা করা হয়েছে।

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আবদুল আজিজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি অপরাধীদের শনাক্ত ও দ্রুত আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।