খানাখন্দে ভোগান্তিতে মানুষ

খানাখন্দের ওপর দিয়ে যানবাহন চলার সময় প্রায়ই ঘটছে ছোট ছোট দুর্ঘটনা।

ময়মনসিংহের ত্রিশাল পৌর শহরের প্রধান সড়কটির বেহাল দশা। সড়কটির ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক মোড় থেকে গত মঙ্গলবার তোলা
ছবি: প্রথম আলো

ময়মনসিংহের ত্রিশাল পৌর শহরের প্রধান সড়কটি খানাখন্দে ভরা। বৃষ্টি হলে ওইসব খানাখন্দে পানি জমে থাকে। খানাখন্দের ওপর দিয়ে যানবাহন চলার সময় প্রায়ই ঘটছে ছোট ছোট দুর্ঘটনা। পথচারীদের হেঁটে চলাচল করাও কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে পৌর শহরের বাসিন্দারা এবং বিভিন্ন প্রয়োজনে ত্রিশাল পৌর শহরে আসা মানুষেরা ভোগান্তিতে পড়ছেন।

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, ত্রিশাল পৌর শহরের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে পোড়াবাড়ি বাজার পর্যন্ত সড়কটির দেড় কিলোমিটার অংশ পড়েছে পৌর শহরে। এ দেড় কিলোমিটার অংশজুড়েই ছোট বড় খানাখন্দ। তবে সুতিয়া নদীর সেতুর পর থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক পর্যন্ত অংশে সবচেয়ে বেশি খানাখন্দ। অথচ এ অংশ পার হয়ে মানুষকে যেতে হয় উপজেলা পরিষদ কার্যালয় ও থানায়। বৃষ্টি হয়ে এ অংশের খানাখন্দগুলোতে হাঁটু সমান পানি জমে থাকে। যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই পানিতে উল্টো যায়। ঝুঁকি এড়াতে অনেক যানবাহন বিকল্প পথে দেড় কিলোমিটার ঘুরে চলাচল করে।

সম্প্রতি সরেজমিনে ত্রিশাল পৌর শহরের ওই সড়কটিতে দেখা যায়, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মোড় এলাকায় বিশাল গর্ত পানিতে থই থই করছে। পানির ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। ওই অংশের যানবাহনের ধীরগতির কারণে সৃষ্টি হয়েছে যানজট। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে নারী, শিশুসহ পথচারীরা।

একজন স্কুলছাত্র বলে, ত্রিশালের নজরুল একাডেমি স্কুলের একটি ফটক এ ভাঙা সড়কের কাছে। অনেক শিক্ষার্থী এ ফটক দিয়ে স্কুলে যায়। কিন্তু সড়কটি কয়েক বছর ধরেই বেহাল থাকায় তারা ভোগান্তিতে রয়েছে। বিশেষ করে বর্ষাকালে সে ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করে।

কাজল মিয়া নামের এক অটোরিকশাচালক বলেন, ‘ত্রিশাল-পোড়াবাড়ী সড়কের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে এই দেড় কিলোমিটারের খানাখন্দের জন্য অনেক কষ্ট পোহাতে হয়। সব সময় ভয়ে ভয়ে থাকতে হয়, কখন গাড়ি উল্টে দুর্ঘটনার শিকার হই। বৃষ্টির পানিতে খানাখন্দগুলো ভরে থাকলে প্রায়ই অটোরিকশার মতো হালকা যান উল্টো গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে।’

এ ব্যাপারে জানতে ত্রিশাল পৌরসভার মেয়র এ বি এম আনিছুজ্জামানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। প্যানেল মেয়র রাশিদুল হাসান বিপ্লব বলেন, এ সড়কটি বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে সংস্কার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী অক্টোবর বা নভেম্বর মাস থেকে কাজ শুরু হতে পারে। তবে বর্ষার কথা মাথায় রেখে অতি দ্রুত সাময়িকভাবে সংস্কার করা হবে, যাতে মানুষের ভোগান্তি কমে।