এবার ধর্ষণের শিকার কিশোরী শ্রমিক

প্রতীকী ছবি

নরসিংদী শহরের চৌয়ালায় একটি স্পিনিং মিলের এক কিশোরী শ্রমিককে (১৪) চারজন মিলে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে শহরের চৌয়ালা এলাকার একটি বালুর মাঠে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় আজ শুক্রবার দুপুরে ওই কিশোরী বাদী হয়ে নরসিংদী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দেয়। বিকেল পাঁচটার দিকে সেটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণের মামলা আকারে রেকর্ড হয়েছে।

মামলা দায়েরের পরপরই আসামিদের ধরতে অভিযানে নামে পুলিশ। সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় তারা। সন্ধ্যায় জেলা পুলিশ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ১৪ বছরের কিশোরীকে চারজন মিলে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত দুই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার দুজন হলেন নরসিংদী শহরের চৌয়ালা এলাকার মো. মনির (৩২) ও মো. হাসান (২১)। মামলার অপর দুই আসামি পলাতক রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার রাতে ওই কিশোরী স্পিনিং মিলে কাজ করছিল। হালকা খিদে লাগায় শুকনো খাবার কেনার জন্য বাইরে আসে সে। পথে পরিচিত একজনের সঙ্গে দেখা হলে তার সঙ্গে কথা বলতে কিছুক্ষণের জন্য দাঁড়ায়। এ সময় অভিযুক্ত চার আসামি ওই যুবককে মারধর করে ওই কিশোরীকে পাশের বালুর মাঠে নিয়ে যায়। সেখানে ওই চার আসামি তাকে ধর্ষণ করেন।

জেলা পুলিশের মিডিয়া সমন্বয়ক পরিদর্শক রুপণ কুমার সরকার স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নরসিংদী মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) তোফাজ্জল হোসেন ও উপপরিদর্শক শাহীন আহমেদ চৌধুরী শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় এই দুই আসামির অবস্থান শনাক্ত করেন এবং তাঁদের গ্রেপ্তার করেন। অপর দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।

মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে কিশোরীটি ওই স্পিনিং মিলে কাজ করছিল। হালকা খিদে লাগায় শুকনো খাবার কেনার জন্য বাইরে আসে সে। পথে পরিচিত একজনের সঙ্গে দেখা হলে তার সঙ্গে কথা বলতে কিছুক্ষণের জন্য দাঁড়ায়। এ সময় অভিযুক্ত চার আসামি ওই যুবককে মারধর করে ওই কিশোরীকে পাশের বালুর মাঠে নিয়ে যায়। সেখানে ওই চার আসামি তাকে ধর্ষণ করেন।

মামলায় শুধু মো. মনিরের (৩০) নাম উল্লেখ করতে পেরেছে ওই কিশোরী। তবে অপর তিন আসামির পরিচয় নিশ্চিত করতে না পেরে তাঁদের অজ্ঞাত আসামি করা হয়। মনিরকে গ্রেপ্তারের পরই ঘটনায় হাসানের সংশ্লিষ্টতার কথা জানতে পারে পুলিশ। তাঁদের কাছ থেকে অপর দুই আসামির পরিচয় নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। তবে তাঁদের গ্রেপ্তারের স্বার্থে তা প্রকাশ করা হয়নি।

ওই কিশোরী ও তার স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পৌর শহরের চৌয়ালা এলাকার একটি বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি স্পিনিং মিলে কাজ করে ওই কিশোরী। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে শুকনো খাবার কেনার জন্য মিলের বাইরে বের হয় সে। এ সময় পূর্বপরিচিত এক যুবকের সঙ্গে কথা বলার সময় ওই যুবককে মারধর করে কিশোরীকে পাশের একটি বালুর মাঠে নিয়ে যান মনিরসহ অভিযুক্ত চারজন। পরে সেখানকার একটি খোলা জায়গায় কিশোরীকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যান তাঁরা।

নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার দত্ত চৌধুরী জানান, শুক্রবার দুপুরে ধর্ষণের এই অভিযোগ পাওয়ার পরপরই নরসিংদী সদর হাসপাতালে ওই কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। আজ বিকেলে অজ্ঞাত তিনজনসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরী। এরপরই দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকি দুজনকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।