খাবার খেয়েই বমির পর শিক্ষার্থীর মৃত্যু, দুই শিক্ষক আটক

লক্ষ্মীপুর জেলার মানচিত্র

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় মাদ্রাসায় দুপুরের খাবার গ্রহণের পর মো. মুন্না (১৩) নামের এক শিক্ষার্থী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে পৌরসভার ল্যাংড়াবাজার পশ্চিম কেরোয়া এলাকার আফিয়া-হারুন নূরানি হাফেজিয়া মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রাতে মাদ্রাসার সুপার মোজাম্মেল হক ও শিক্ষক আবু হানিফকে আটক করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই শিক্ষার্থীর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে।

নিহত মুন্না চরপাতা ইউনিয়নের পূর্ব চরপাতা গ্রামের মোস্তান বাড়ির সৌদিপ্রবাসী কামাল হোসেনের মেজ ছেলে। পরিবার সূত্র জানায়, মুন্না স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছিল। করোনাকালে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় তাকে কোরআন শিক্ষার জন্য গত বছর আগস্টে আফিয়া-হারুন নূরানি হাফেজিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি করা হয়। দুপুরের খাবার সে মাদ্রাসাতেই খেত। বুধবার দুপুরে খাওয়ার পর সে কয়েকবার বমি করে একপর্যায়ে মাটিতে লুটে পড়ে। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

করোনাকালে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় তাকে কোরআন শিক্ষার জন্য গত বছর আগস্টে আফিয়া-হারুন নূরানি হাফেজিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি করা হয়। দুপুরের খাবার সে মাদ্রাসাতেই খেত। বুধবার দুপুরে খাওয়ার পর সে কয়েকবার বমি করে একপর্যায়ে মাটিতে লুটে পড়ে।

মুন্নার মা মমতাজ বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘কীভাবে কী হয়ে গেল, বুঝতে পারছি না। আমি ঘটনার তদন্ত দাবি করি।’

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল জলিল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসকের বরাত দিয়ে জানান, শিশুটির শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। হাসপাতালে আনার আগেই শিশুটি মারা গিয়েছিল। ওসি বলেন, কী কারণে মুন্নার মৃত্যু হয়েছে, তা বলা যাচ্ছে না। এ ঘটনায় থানায় এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগও করেনি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মাদ্রাসা সুপার ও একজন শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। তাঁদের আদালতে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।