খুলনা বিভাগে করোনায় শনাক্ত ১২০, মৃত্যু পাঁচজনের

খুলনা বিভাগে আজ বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সংক্রমিত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ৬৬১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১২০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৭ দশমিক ২২ শতাংশ।

বিভাগে সুস্থ হয়েছেন ২৭৬ করোনা রোগী। বুধবার খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় আগের দিনের চেয়ে ৩৬টি নমুনা কম পরীক্ষা হয়েছে। আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ছিল ৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ। ওই সময়ে বিভাগে করোনায় সংক্রমিত চারজনের মৃত্যু হয়েছিল। করোনা শনাক্ত হয়েছিল ১১৬ জনের। সে হিসেবে গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে করোনা রোগী শনাক্ত, শনাক্তের হার ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে।

খুলনা বিভাগের মধ্যে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত বছরের ১৯ মার্চ চুয়াডাঙ্গায়। তখন থেকে এ পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় মোট ১ লাখ ১১ হাজার ১০৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের সংখ্যা বিবেচনায় জেলাগুলোর মধ্যে শীর্ষে আছে খুলনা। এ জেলায় ২৭ হাজার ৬৯৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সবচেয়ে কম মাগুরায় ৪ হাজার ১২৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে খুলনার সর্বোচ্চ ৩১ জন। এ ছাড়া বাগেরহাটে ৪, সাতক্ষীরায় ১৪, যশোরে ২১, নড়াইলে ২, মাগুরায় ৫, ঝিনাইদহে ১২, কুষ্টিয়ায় ২০, চুয়াডাঙ্গায় ৫ ও মেহেরপুরে ৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

বিভাগের ১০ জেলায় এখন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হওয়ার পর সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৩ হাজার ৬৪১ জন। সুস্থতার হার ৯৩ দশমিক ২৮ শতাংশ। বিভাগে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যাও কমছে। আজ পর্যন্ত ১০ জেলায় করোনা রোগী আছেন ৪ হাজার ৩৭০ জন। তাঁদের মধ্যে ২৮১ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অন্যরা বাড়িতে রয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে তিনজন খুলনা জেলার। এর বাইরে যশোর ও ঝিনাইদহে একজন করে মারা গেছেন। বিভাগে এখন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন ৩ হাজার ৯৫ জন। মৃত্যুর হার ২ দশমিক ৭৯ শতাংশ।

খুলনা জেলায় সর্বোচ্চ ৭৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে কুষ্টিয়ায় ৭৫৪ জন। এ ছাড়া যশোরে ৪৮৪, ঝিনাইদহে ২৬৫, চুয়াডাঙ্গায় ১৮৯, মেহেরপুরে ১৮০, বাগেরহাটে ১৪২, নড়াইলে ১১৮, মাগুরায় ৯০ ও সাতক্ষীরায় ৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।