খুলনা বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ২২ জনের মৃত্যু, কমেছে নমুনা পরীক্ষা

বিভাগে করোনায় সংক্রমিত হয়ে মোট মারা গেছেন ৭৯৭ জন। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৮ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ৬২৫ জনের আর সুস্থ হয়েছেন ১৯২ জন।

করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা।
প্রতীকী ছবি

খুলনা বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সংক্রমিত হয়ে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত বছরের ১৯ মার্চ বিভাগে প্রথম করোনা শনাক্ত হওয়ার পর এটাই এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর সংখ্যা। এর আগে ১৭ জুন করোনায় খুলনা বিভাগে এক দিনে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২২ জনের মধ্যে কুষ্টিয়ার সাতজন, সাতক্ষীরায় চারজন, যশোর ও খুলনায় তিনজন করে, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে দুজন করে এবং ঝিনাইদহে একজন।

বিভাগে করোনা সংক্রমিত হয়ে মোট মারা গেছেন ৭৯৭ জন। তাঁদের মধ্যে খুলনা জেলায় ২০৬, কুষ্টিয়ায় ১৪৭, যশোরে ১০৪, চুয়াডাঙ্গায় ৬৮, বাগেরহাটে ৬৩, ঝিনাইদহে ৬২, সাতক্ষীরায় ৬০, নড়াইলে ৩০, মেহেরপুরে ৩৩ ও মাগুরায় ২৪ জন রয়েছেন। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৮ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ৬২৫ জনের আর সুস্থ হয়েছেন ১৯২ জন। গতকাল শুক্রবার থেকে আজ শনিবার সকাল আটটার (২৪ ঘণ্টা) করোনাসংক্রান্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, বিভাগে মোট শনাক্তের সংখ্যা ৪৪ হাজার ২৬৯। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৩৪ হাজার ১২৬ জন। ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের ১০ জেলায় আরটি-পিসিআরের মাধ্যমে ১ হাজার ৭৭১টি, র‍্যাপিড অ্যান্টিজেনে ৪১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এই দুই পদ্ধতিতে মোট ১ হাজার ৮১২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৬২৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় আগের দিনের তুলনায় ৭১৩টি নমুনা কম পরীক্ষা হয়েছে। আগের দিন শনাক্তের হার ছিল ৪০ দশমিক ৯১ শতাংশ। বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ শনাক্তের হার বাগেরহাটে ১০০ শতাংশ। সাতক্ষীরায় ৬০ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে বাগেরহাটে ৩, চুয়াডাঙ্গায় ৭৬, যশোরে ১৬৩, ঝিনাইদহে ২৪, খুলনায় ১৪৯ (নগরে ১২৩), কুষ্টিয়ায় ১১২, মাগুরায় ১০, মেহেরপুরে ১৪, নড়াইলে ১৮ ও সাতক্ষীরায় ৫৬ জন আছেন।

বিভাগে সুস্থ ও মারা যাওয়া ব্যক্তির সংখ্যা বাদ দিলে সক্রিয় রোগী আছেন ৯ হাজার ৩৪৬ জন। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন মাত্র ৪৬৬ জন।

খুলনার ১৩০ শয্যার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত রোগী ভর্তি ছিলেন ১৫৫ জন। এর মধ্যে ১৩৪ জন করোনা নিয়ে ও বাকি ২১ জন উপসর্গ নিয়ে ভর্তি। হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ১৯ জন ও হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) ২০ রোগী চিকিৎসাধীন।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (রোগনিয়ন্ত্রণ) ফেরদৌসী আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা কিছুটা কম হয়েছে। বিশেষ করে র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট বেশ কম হয়েছে। আর সপ্তাহখানেক ধরে শনাক্তের হার ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশের মধ্যে ওঠানামা করছে। স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে না মানলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে।