খুলনা বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৪০ জনের মৃত্যু

করোনায় মৃত্যু
ফাইল ছবি

খুলনা বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়ে আরও ৪০ জন মারা গেছেন। এই সময়ে নতুন করে ৮৮০ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। আর সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৩০৯ জন। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় করোনা শনাক্ত ২৬ শতাংশের বেশি।

আজ রোববার খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর মধ্য দিয়ে শনাক্ত ৯৩ হাজার আর সুস্থ হওয়া ব্যক্তির সংখ্যা ৭০ হাজার ছাড়াল।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বিভাগে গতকাল শনিবার করোনায় আক্রান্ত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ৫৭১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। গতকালের চেয়ে নমুনা পরীক্ষা বেশি হয়েছে। আর মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যাও বেড়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় আরটি–পিসিআর ল্যাবে ১ হাজার ৫৫টি, জিন এক্সপার্ট যন্ত্রে ৮০টি এবং র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় ২ হাজার ১৬৮টি নমুনা পরীক্ষা হয়। মোট ৩ হাজার ৩০৩টি নমুনা পরীক্ষা করে ৫৭১ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ২৬ দশমিক ৬৪। আগের ২৪ ঘণ্টার চেয়ে ১ হাজার ২৬৮টি নমুনা বেশি পরীক্ষা হয়েছে।

বিভাগের মধ্যে আজ শনাক্তের সর্বোচ্চ হার মাগুরায় ৪৩ দশমিক ৫৬। আর শনাক্তের সর্বনিম্ন হার মেহেরপুরে ১৭ দশমিক ৫৩। আজ চুয়াডাঙ্গায় ও বাগেরহাটে শনাক্তের সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়িয়েছে।

বিভাগে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৭০ হাজার ৯৫ জন। সুস্থতার হার প্রায় ৭৪। বর্তমানে করোনা রোগী রয়েছেন ২১ হাজার ২৮৯ জন। তাঁদের মধ্যে হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১ হাজার ২২৬ জন। বাকিরা বাসায় আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, নতুন শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৮৯ জন খুলনার। এ ছাড়া কুষ্টিয়ায় ১৮১ জন, যশোরে ৮৬, চুয়াডাঙ্গায় ৫২, সাতক্ষীরায় ৮২, বাগেরহাটে ৮৯, ঝিনাইদহে ৮৫, মাগুরায় ৪৪, মেহেরপুরে ৩৪ এবং নড়াইলে ৩৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

বিভাগে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ৯৩ হাজার ৮১২ জনের। শনাক্ত বিবেচনায় জেলাগুলোর মধ্যে শীর্ষে আছে খুলনা। এ জেলায় এখন পর্যন্ত ২৩ হাজার ৯৬৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

বিভাগে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ২ হাজার ৪২৮। মৃত্যুর হার ২ দশমিক ৫৯। করোনায় মারা যাওয়া সর্বশেষ ৪০ জনের মধ্যে কুষ্টিয়ায় ১৬ জন; যশোরে ৭ জন; খুলনা ও ঝিনাইদহে ৫ জন করে; বাগেরহাটে ৩ জন এবং চুয়াডাঙ্গায় ও নড়াইলে ২ জন করে রয়েছেন।

বিভাগে খুলনা জেলায় করোনায় সর্বোচ্চ ৬২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু কুষ্টিয়ায় ৫৬৯ জনের। এ ছাড়া যশোরে ৩৫১ জন, ঝিনাইদহে ২০৭, চুয়াডাঙ্গায় ১৬৩, মেহেরপুরে ১৩৭, বাগেরহাটে ১২৬, নড়াইলে ৯৪, সাতক্ষীরায় ৮৫ ও মাগুরায় ৬৭ জন মারা গেছেন।