খুলনার মশিয়ালীতে তিন হত্যা: আরও এক আসামি গ্রেপ্তার

খুলনার খানজাহান আলী থানার মশিয়ালী গ্রামে নির্বিচারে গুলি করে তিনজনকে হত্যার ঘটনায় এজাহারভুক্ত আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে সোনাডাঙ্গা মডেল থানা এলাকার সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করে।


গ্রেপ্তার হওয়া ওই আসামির নাম মো. আলমগীর সরদার ওরফে বাবু। তিনি ওই মামলার ১৩ নম্বর আসামি। এ নিয়ে ওই মামলার এজাহারভুক্ত ২২ আসামির মধ্যে ১০ আসামি গ্রেপ্তার হলেন। তবে মামলার প্রধান দুই আসামি শেখ জাকারিয়া ও শেখ মিল্টন রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।

এর আগে মামলার ৩ নম্বর আসামি জাফরিনসহ এজাহারভুক্ত ৯ আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর মধ্যে জাফরিনকে ২ দফায় ১৩ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ড চলার সময় তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, দেশি দুটি পিস্তল ও কয়েকটি গুলি উদ্ধার করা হয়। শেষ দিনে আদালতের কাছে ঘটনার স্বীকারোক্তি দিয়ে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন জাফরিন। গ্রেপ্তার হওয়া মামলার অন্য আসামিরাও আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছিলেন।

মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিবির পরিদর্শক এনামুল হক বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মো. আলমগীর সরদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া প্রক্রিয়াধীন। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মশিয়ালী গ্রামটি খুলনার ফুলতলা উপজেলার আটরা-গিলেতলা ইউনিয়নের মধ্যে পড়েছে। তবে এটি খানজাহান আলী থানার আওতাধীন।

গত ১৬ জুলাই রাত সাড়ে আটটার দিকে মশিয়ালী গ্রামের পূর্বপাড়ার সাধারণ মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি ছোড়েন ওই এলাকার প্রভাবশালী ও আওয়ামী লীগের নেতা শেখ জাকারিয়া, তাঁর মেজ ভাই শেখ মিল্টন এবং ছোট ভাই শেখ জাফরিন হাসান। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যান। আর হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরও একজন। ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন ১০ জন।