খুলনায় প্রায় শতকোটি টাকার ‘সাপের বিষ’ জব্দ, গ্রেপ্তার ৩

খুলনার জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে আজ উদ্ধার হওয়া সন্দেহজনক সাপের বিষ। জিজ্ঞাসাবাদ থেকে জানা গেলেও এখনো প্রমাণ হয়নি যে তা সাপের বিষ। তবে সাপের বিষ এই ধরনের কন্টেইনারেই বহন করা হয়। সাপের বিষ হলে এগুলোর মূল্য কম করে ৯০ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে র‌্যাব
প্রথম আলো

খুলনায় প্রায় শতকোটি টাকা মূল্যের ‘সাপের বিষ’সহ তিনজন পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৬। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে খুলনার জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন পাবনার বেড়া এলাকার নূরুল সরদারের ছেলে বাচ্চু সরদার (৫০), পাবনার ফরিদপুরের মো. ইব্রাহিম প্রামাণিকের ছেলে লুৎফুর রহমান (৪৮) ও যশোর সদর এলাকার রামচন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে সৌমিত্র বিশ্বাস (৩২)।

র‍্যাব-৬ সূত্রে জানা যায়, জব্দ করা ‘সাপের বিষ’ ছয়টি কন্টেইনারে (তিনটি তরল ও তিনটি পাউডার অবস্থা) ছিল। প্রত্যেক কন্টেইনারে ‘মেড ইন ফ্রান্স’ লেখা রয়েছে। আটকের পর ওই তিনজনকে র‍্যাব-৬-এর সদর দপ্তরে আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা বেশ কিছু তথ্য দিয়েছেন। জব্দ দ্রব্য আসলেই সাপের বিষ কি না, সেটা পরীক্ষা করা হবে।

৬টি কন্টেইনারের প্রতিটিতে ২ পাউন্ড করে সিল করা অবস্থায় ১২ পাউন্ড ‘সাপের বিষ’সহ ৩ জনকে হাতেনাতে আটক করা হয়।

র‍্যাব-৬ খুলনার অধিনায়ক লে. কর্নেল রওশনুল ফিরোজ প্রথম আলোকে বলেন, ৬টি কন্টেইনারের প্রতিটিতে ২ পাউন্ড করে সিল করা অবস্থায় ১২ পাউন্ড ‘সাপের বিষ’সহ ৩ জনকে হাতেনাতে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ থেকে জানা গেলেও এখনো প্রমাণ হয়নি যে তা সাপের বিষ। তবে তাঁদের কাছে সাপের বিষই মনে হচ্ছে। কারণ, সাপের বিষ এই ধরনের কন্টেইনারেই বহন করা হয়। সাপের বিষ হলে এর মূল্য কম করে ৯০ কোটি টাকা। ওই তিন ব্যক্তি পাশের দেশ বা কোথাও সেগুলো পাচারের জন্যই বহন করছিলেন। অন্য কোনো পার্টির অপেক্ষায় ছিলেন তাঁরা। তদন্ত করে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

র‍্যাবের ওই কর্মকর্তা জানান, ওই তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে নগরের হরিণটানা থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।