খুলনায় বিএনপির সমাবেশে পুলিশের ‘লাঠিচার্জ’, আহত ৯

পুলিশের ধাওয়ায় কার্যালয়ে গিয়ে ঢুকে বিএনপির নেতা–কর্মীরা। কার্যালয় ঘিরে পুলিশের অবস্থান। খুলনার কে ডি ঘোষ সড়কে সোমবার দুপুরেছবি: প্রথম আলো


খুলনায় বিএনপির পূর্বনির্ধারিত সমাবেশে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। এতে জেলা ও মহানগর বিএনপির অন্তত ৯ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরের কেডি ঘোষ রোডে অবস্থিত দলীয় কার্যালয়ের সামনে ওই ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তিরা হলেন মহানগরের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের সহসভাপতি বাবুল হোসেন গাজী, বটিয়াঘাটা উপজেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার ফারুক হোসেন, জেলার সদস্য আবদুল হালিমসহ ৯ জন।

তবে, পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর কোনো লাঠিচার্জ করা হয়নি, শুধু ধাওয়া দেওয়া হয়েছে। ওই ধাওয়া খেয়ে হুড়মুড় করে কার্যালয়ে ঢুকতে গিয়ে অনেকে পড়ে আহত হয়েছেন।

ওই ঘটনার পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দলীয় কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপি। প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠিচার্জ, নির্বিচারে গুলি ও হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার কথা ছিল। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে যখন নেতা-কর্মীরা শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে সমাবেশের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখন পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়। এ সময় তিনিসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা পুলিশের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে পুলিশ তাঁদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করে। এরপরই পুলিশ তাঁদের নেতা-কর্মীদের ওপর অতর্কিতে লাঠিচার্জ করলে কয়েকজন আহত হন। পুলিশের বাধায় তাঁদের সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়।

খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম বলেন, অনুমতি না নিয়ে রাস্তা অবরোধ করে সমাবেশ করার চেষ্টা করছিল বিএনপি। এ সময় তাদের রাস্তা ছেড়ে দিয়ে কার্যালয়ের মধ্যে গিয়ে সমাবেশ করার কথা বলা হয়। পরে কার্যালয়ে ওঠার সময় নেতা-কর্মীরা পুলিশের উদ্দেশে অশ্রাব্য গালিগালাজ করতে থাকেন। তখন পুলিশ তাঁদের ধাওয়া করে। এ সময় তড়িঘড়ি করে ছোট সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠতে গিয়ে অনেকেই আহত হয়েছেন। পুলিশ বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করেনি বলে দাবি করেন তিনি।