খুলনায় বেতনের দাবিতে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের বিক্ষোভ

পাঁচ মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে খুলনা প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ করেন খুলনা সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। আজ বুধবার সকালে খুলনা প্রেসক্লাব এলাকায়
ছবি: সংগৃহীত

বেতন-ভাতার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন খুলনা সিটি করপোরেশনে (কেসিসি) কর্মরত পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। আজ বুধবার সকাল থেকে খুলনা প্রেসক্লাবসহ নগরের বিভিন্ন জায়গায় তাঁরা অবস্থান করে বিক্ষোভ করেন।

পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা বলছেন, দীর্ঘ পাঁচ মাস ধরে তাঁরা বেতন পাচ্ছেন না। তাঁরা আউটসোর্সিং হিসেবে সিটি করপোরেশনে পরিচ্ছন্নতার কাজ করেন। তাঁদের তত্ত্বাবধায়ক হাফিজুর রহমান বেতন দিতে নানা টালবাহানা করছেন। বেতন না পাওয়া শ্রমিক আছেন ১২০ জন। বেতন না পেয়ে তাঁরা পরিবার নিয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন। বাধ্য হয়েই তাঁরা রাস্তায় নেমেছেন। কয়েক দিন ধরে বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে আসছেন তাঁরা।

পরিচ্ছন্নতাকর্মী রাকিব হাসান বলেন, করোনার মধ্যেও স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে সিটি করপোরেশনের বর্জ্য পরিষ্কার করছেন তাঁরা। অথচ পাঁচ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। বর্জ্য অপসারণের সময় গ্লাভস, মাস্ক, বুট জুতা, হেলমেট ব্যবহার করার কথা থাকলেও তাঁদের কিছুই নেই। তাঁরা শুনেছেন, এসব বরাদ্দ হয়েছিল, কিন্তু তাঁদের দেওয়া হয়নি। বর্তমানে বেতন না পেয়ে তাঁরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। মুদি দোকানিরা আর বাকি দিতে চাইছেন না। বাড়িওয়ালারাও ভাড়ার টাকার জন্য তাগিদ দিচ্ছেন। এতে তাঁরা বিপাকে আছেন।

বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের ভাষ্য, ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে কেসিসির আউটসোর্সিংয়ে চাকরিতে যোগদান করেন তাঁরা। কয়েক মাস সঠিকভাবে বেতন পেলেও চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত বেতন পাননি। একে লকডাউন, সেই সঙ্গে সামনে ঈদ। এ সময় টাকা না পেলে তাঁরা না খেয়ে মরবেন।

আউটসোর্সিং পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের তত্ত্বাবধায়ক হাফিজুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকদের হাজিরাসংক্রান্ত একটি জটিলতার কারণে মেয়র তদন্ত কমিটি করেছিলেন। তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করে মেয়রকে দেওয়া হয়েছে। দেওয়ার পরের দিন তিনি অসুস্থ হয়ে ঢাকায় চলে যান। তিনি খুলনায় এলে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। তদন্তে কেন এত দীর্ঘ সময় লাগল, এ প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি তত্ত্বাবধায়ক হাফিজুল ইসলাম।