খুলনায় মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, সুপার গ্রেপ্তার

প্রতীকী ছবি

খুলনার পাইকগাছায় চতুর্থ শ্রেণির মাদ্রাসাছাত্রীকে (১০) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে মাদ্রাসার সুপার মো. হাবিবুর রহমানকে (৫৫) গ্রেপ্তার করেছে থানা-পুলিশ। এর আগে মঙ্গলবার রাতে ভুক্তভোগী শিশুটির নানি বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণ মামলা করেন।

পুলিশ শিশুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে পাঠিয়েছে। সে বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন। শিশুটির মা ইটভাটায় কাজ করেন। তার বাবা নেই। এ জন্য সে নানির কাছে থেকে পড়াশোনা করে।

এ ঘটনা হওয়া মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, খুলনার কয়রা উপজেলার বাসিন্দা মো. হাবিবুর রহমান পাইকগাছা উপজেলার ওই মাদ্রাসায় সুপার হিসেবে প্রায় দেড় বছর ধরে চাকরি করছেন। করোনার কারণে বর্তমানে মাদ্রাসা বন্ধ রয়েছে। কিন্তু তিনি প্রতি রোববার শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিয়ে থাকেন। গত রোববারও ভুক্তভোগী ছাত্রীসহ শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিয়েছে। পরদিন সোমবার ভোর ছয়টার দিকে মাদ্রাসার পাশে ওই ছাত্রীর বাড়িতে যান সুপার এবং শিক্ষার্থীর নানিকে শিশুটিকে মাদ্রাসায় পড়তে পাঠাতে বলে চলে যান।

ধর্ষণের অভিযোগে সুপারকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তাঁর ডিএনএ পরীক্ষার জন্য আবেদন করা হবে। ভুক্তভোগী ছাত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মো. আশরাফুল আলম, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পাইকগাছা থানার পরিদর্শক (তদন্ত)

শিশুটি সাতটার দিকে মাদ্রাসায় গিয়ে দেখতে পায় আরও দুজন ছাত্রী সেখানে এসে পড়তে শুরু করেছে। এরপর সুপার ওই দুই ছাত্রীকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। এরপর ভুক্তভোগী ছাত্রীকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তাঁর নিজ কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করেন। মেয়েটি কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে এসে নানিকে বিষয়টি জানালে নানি এলাকার কয়েকজনকে জানান। এলাকার লোকজনের সহায়তা না পেয়ে ঘটনার এক দিন পর নানি থানায় মামলা করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পাইকগাছা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে সুপারকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তাঁর ডিএনএ পরীক্ষার জন্য আবেদন করা হবে। ভুক্তভোগী ছাত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।