খোকসায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০, গ্রেপ্তার ১৮

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের সমর্থক দুই গ্রুপের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা, বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালেছবি: প্রথম আলো

কুষ্টিয়ার খোকসায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের সমর্থক দুই গ্রুপের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা, বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে ও আজ বৃহস্পতিবার সকালে দুই দফায় উপজেলার কোমরভোগ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য জাবেদ আলী ও সাবেক ইউপি সদস্য নয়নের লোকের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে এক পক্ষ প্রতিপক্ষের লোকদের ওপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। পরে আজ সকালে দ্বিতীয় দফায় প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালায়।

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের সমর্থক দুই গ্রুপের মধ্যে গতকাল বুধবার রাতে ও আজ বৃহস্পতিবার সকালে দুই দফায় পাল্টাপাল্টি হামলা, বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। আজ সকালে
ছবি: প্রথম আলো

এ হামলায় শাজাহান আলী (৪৫), আমিরুল ইসলাম (৪০), রাশিদুল, তুহিন (২৩), মুন্নু (৬০), সাইখুল ইসলামসহ (৪২) দুই পক্ষের ১০ নারী-পুরুষ-শিশু আহত হয়েছেন। শাজাহানের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে রাতেই কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়ে অন্তত ১৩ বাড়ি ও দোকান ভাঙচুর করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাতেই সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে গতকাল রাতে ও আজ সকালে ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
ওসমানপুর ইউপির সদস্য জাবেদ আলী বলেন, আগের রাতে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। সে সময় প্রতিপক্ষের নেতার লোক লিটন মাস্টার হামলা করার ঘোষণা দেন। সেই ঘোষণার পর গতকাল দুপুরে প্রতিপক্ষ তাঁর লোকজনের বাড়িতে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। রাতে লিটন মাস্টারের নেতৃত্বে হামলা করা হয়। এ সময় প্রতিপক্ষ তাঁর লোকজনের পাঁচটি বাড়িতে ভাঙচুর করেছে বলে জাবেদ আলী দাবি করেন।

কুষ্টিয়ার খোকসায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের সমর্থক দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে এক আহত। আজ সকালে তোলা ছবি
প্রথম আলো

প্রতিপক্ষের নেতা নয়ন প্রথম আলোকে বলেন, সামাজিকভাবে উভয় গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এরই জেরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ গোলমালের সূত্রপাত।

এদিকে লিটন মাস্টারের সঙ্গে কথা হলে তিনি ঘটনা সম্পর্কে জানেন না বলে দাবি করেন।

খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। থানায় তিনটি মামলা হয়েছে। ইতিমধ্যে ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।