গরমে মারা যাচ্ছে মুরগি, দুশ্চিন্তায় খামারিরা

প্রচণ্ড গরমের কারণে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার বিভিন্ন পোলট্রি খামারের মুরগি মারা যাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে সর্বশেষ এক সপ্তাহ আগে বৃষ্টি হয়। এরপর তাপমাত্রা ক্রমেই বাড়তে থাকে। মাত্রাতিরিক্ত গরমের কারণে গত সাত দিনে উপজেলার বিভিন্ন খামারের সহস্রাধিক মুরগি মারা গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এতে খামারের মালিকেরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

খামারিরা জানিয়েছেন, প্রাথমিক চিকিৎসা ও খামারে পানি ছিটানোসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েও কাজ হচ্ছে না। অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, এ বিষয়ে খামারিরা তাঁদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেননি।


উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের বাবুলচারা গ্রামের আহসান উল্লাহ মিঠু নামে এক খামারি বলেন, প্রচণ্ড গরমের কারণে খামারের মুরগিগুলো ছটফট করছে। তাঁর খামারে বর্তমানে তিন হাজার মুরগি রয়েছে। প্রচণ্ড তাপ সহ্য করতে না পেরে এ পর্যন্ত তাঁর খামারের ৩০টির বেশি লেয়ার মুরগি মারা গেছে।

আহসান উল্লাহ জানান, সাত-আট দিনে বাবুলচারা গ্রামের বিভিন্ন খামারে ১৭০টি মুরগি মারা যাওয়ার খবর পেয়েছেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার ও গতকাল শুক্রবার দুই দিনে ওই গ্রামের খামারি মাহাবুল প্রামাণিক ও আবদুল মালেক সরদারের খামারে ২০টির বেশি মুরগি মারা যায়। উপজেলার অন্য ইউনিয়ন ও গ্রাম থেকেও মুরগি ও মুরগির বাচ্চা মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।

দাশুড়িয়া ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের মুরগির খামারের মালিক আকমল হোসেন জানান, খামারে মুরগিগুলো দাবদাহ সহ্য করতে পারছে না। খামারে পর্যাপ্ত বৈদ্যুতিক পাখা লাগিয়ে, পানি ছিটিয়ে ও ভিটামিন–জাতীয় ওষুধ প্রয়োগ করেও কাজ হচ্ছে না। দাবদাহ সহ্য করতে না পেরে মুরগি মারা যাচ্ছে। গত এক সপ্তাহে তাঁর খামারে ১০০ মুরগি মারা গেছে।

খামারিরা বলেন, গরমে এ পর্যন্ত বিভিন্ন খামারের সহস্রাধিক মুরগি মারা গেছে। মুরগিগুলো প্রথমে প্রচণ্ড গরমে দুর্বল হয়ে যায়। চোখ কালো হয়ে একপর্যায়ে ঘাড় কাত হয়ে ছটফট করতে করতে মুরগি মারা যায়।

ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, মুরগি মারা যাওয়ার বিষয়ে তিনি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন। তবে এ অবস্থা থেকে কিছুটা পরিত্রাণের জন্য খামারিদের অবশ্যই মুরগির প্রতি বেশি যত্ন নিতে হবে। খামারের ভেতরে ঠান্ডা পানি ছিটানো এবং মুরগিকে খোলামেলা পরিবেশে থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। ভেতরে ফ্যানের বাতাস এবং মুরগিকে ভিটামিন–জাতীয় ওষুধ দিতে হবে।