গাংনী পৌর নির্বাচনে আ.লীগ ও ‘বিদ্রোহী’র পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

  • আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী বর্তমান মেয়রকে যুবলীগের সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

আশরাফুল ইসলাম ও আহম্মেদ আলী
ফাইল ছবি

মেহেরপুরের গাংনী পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান মেয়র আশরাফুল ইসলাম। আওয়ামী লীগের এই ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীকে উপজেলা যুবলীগের সদস্যপদ থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাঁকে নিয়েই বেশি বিপাকে রয়েছে আওয়ামী লীগ। প্রচারণায় আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে চলছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ।

আগামী শনিবার দ্বিতীয় ধাপে গাংনী পৌর নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে। এতে মেয়র পদে পাঁচ প্রার্থী রয়েছেন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের আহম্মেদ আলী, বিএনপির আসাদুজ্জামান, স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান মেয়র আশরাফুল ইসলাম ও আনারুল ইসলাম এবং ইসলামী আন্দোলনের আবু হুরাইরা।

এক সপ্তাহ ধরে আওয়ামী লীগে প্রার্থী পথসভা, সমাবেশসহ নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত রয়েছেন। আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভার জ্যেষ্ঠ নেতাদের নিয়ে ওয়ার্ডভিত্তিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাঁরা ভোটারদের বাড়িতে গিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। সার্বিক নির্দেশনায় রয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এম খালেক এবং উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন।

বিএনপির প্রার্থী আসাদুজ্জামান ও মেয়র আশরাফুল ইসলামও প্রচারণা চালাচ্ছেন। এর মধ্যেই গত সোমবার পৌরসভার শিশিরপাড়া গ্রামে আশরাফুল ইসলামের গাড়িবহরে হামলা চালিয়ে কর্মীদের মারধর ও তাঁর ব্যক্তিগত রিভলবার ছিনিয়ে তিনটি গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটে। আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা এর সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ করেন আশরাফুল ইসলাম।

গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আহম্মেদ আলীকে পরাজিত করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয় পান আশরাফুল ইসলাম। পৌরবাসীর মধ্যে তিনি নিজের শক্ত অবস্থান তৈরি করেছেন। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যেও আশরাফুল ইসলামের প্রভাব রয়েছে।

আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রার্থী আহম্মেদ আলীর সমর্থকেরা আমার কর্মী ও সমর্থকদের বিভিন্নভাবে ভীতি প্রদর্শন করছেন। এ ছাড়া প্রচার মাইক ভাঙচুর করা হয়েছে।’ সুষ্ঠু পরিবেশে প্রচারণা চালাতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আহম্মেদ আলী বলেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। আশরাফুল ইসলাম যে অভিযোগ করছেন, তা সঠিক নয়। নির্বাচনে পরাজয়ের আশঙ্কায় তিনি নানা ধরনের দোষ চাপাচ্ছেন।

বিএনপি প্রার্থী আসাদুজ্জামান বলেন, পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থীকে দমাতে ব্যস্ত। বিএনপির নির্বাচনী প্রচারণায় কোনো বাধাবিপত্তি এখনো আসেনি। তবে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সংশয় রয়েছে।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আহমেদ আলী বলেন, এ পর্যন্ত নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণের ব্যাপারে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।