গাংনীতে আ. লীগের বিদ্রোহীসহ তিন মেয়র প্রার্থীর ভোট বর্জন

ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম। আজ শনিবার বেলা আড়াইটায় গাংনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে
প্রথম আলো

অনিয়ম ও ইভিএমে জোর করে নৌকার প্রতীকে ভোট দিতে বাধ্য করার অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম। আজ শনিবার বেলা আড়াইটায় ৬ নম্বর ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সামনে তিনি ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।

এদিকে বেলা পৌনে তিনটার দিকে বিএনপির প্রার্থী আসাদুজ্জামান বাবলুও ৬ নম্বর কেন্দ্রে এসে সাংবাদিকদের সামনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দলের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী আবু হুরায়রা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারুল ইসলামও (বড়শি) এই পৌর নির্বাচন বর্জন করেন।

আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকেই প্রায় প্রতিটি কেন্দ্র থেকে তাঁর এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন ও রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বার বার অভিযোগ দিয়েও কোনো কাজ হয়নি। ইভিএমে যে কারচুপি করা যায়, তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত গাংনী পৌরসভা নির্বাচন। ঊর্ধ্বতন কোনো শক্তির ইন্ধনে এ কারচুপি করা হয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

আশরাফুল ইসলাম উপজেলা যুবলীগের সদস্য ছিলেন। বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করায় তাঁকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।

এদিকে সকাল থেকেই ভোটারদের অভিযোগ, আঙুলের ছাপ নেওয়ার পরই এজেন্টরা জোর করে নৌকার চিহ্নসংবলিত বাটনে চাপ দিয়ে দিচ্ছেন। ইচ্ছা থাকলেও তাঁরা তাঁদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেননি। কিছু কক্ষে পোলিং কর্মকর্তাদেরও নৌকা প্রতীকের বাটনে টিপ দিয়ে ভোট দিয়েছেন বলে অভিযোগ ভোটারদের।

আরও পড়ুন