গাইবান্ধায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ৫

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

গাইবান্ধায় পুলিশের ওপর হামলা, ভাঙচুর ও গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় সদর থানায় দুটি মামলা হয়েছে। শনিবার গভীর রাতে মামলা দুটি করা হয়। এর মধ্যে একটি মামলা করেছেন গাইবান্ধা রিজার্ভ পুলিশের পরিদর্শক মোক্তাদুর রহমান। অপর মামলাটি করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা দুটি করা হয়েছে।

পুলিশ ৪১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১০০-১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে এবং র‌্যাব ১৯৯ জনকে আসামি করে মামলা করেছে। এসব ঘটনায় শনিবার রাতেই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্র জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় গাইবান্ধা পৌরসভার পূর্ব কোমরনই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ব্যালটসহ অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ে ফেরত আসছিল পুলিশ ও প্রশাসনের গাড়িবহর। এ সময় স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আনওয়ার-উল-সরওয়ারের  কর্মী–সমর্থকেরা পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেন। পরে তাঁরা ম্যাজিস্ট্রেট ও র‌্যাবের আরও তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করেন।

পূর্ব কোমরনই এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে পূর্ব কোমরনই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ব্যালটসহ অন্যান্য সরঞ্জাম পুলিশ ও নির্বাচন কার্যালয়ের কর্মকর্তা–কর্মচারীরা নিয়ে যাচ্ছিলেন। ভোট গণনা না করে এবং ফলাফল ঘোষণা না করেই তাঁরা চলে যাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ তুলে স্বতন্ত্র প্রার্থী আনওয়ার-উল-সরওয়ারের সমর্থকেরা পুলিশের ওপর হামলা করে একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন।

পরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী–সমর্থকেরা পুলিশ ও র‌্যাবের আরও তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করেন। এ সময় পুলিশও কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে ও লাঠিপেটা করে। হামলায় কয়েকজন পুলিশ আহত হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভানোর সময় ফায়ার সার্ভিসের কর্মী মেহের ও সেলিম আহত হন। আহত ব্যক্তিদের গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবদুল মোত্তালিব বলেন, ওই কেন্দ্রের ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণার প্রস্তুতির সময় লোকজন নির্বাচন কর্মকর্তা ও পুলিশের ওপর হামলা চালায়। তবে এতে ব্যালট বা কোনো সরঞ্জাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।

গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজার রহমান বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় গাইবান্ধা পৌরসভার পূর্ব কোমরনই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। কিন্তু ওই ফলাফল স্বতন্ত্র প্রাথীর সমর্থকদের মনঃপূত না হওয়ায় তাঁরা এই ঘটনা ঘটান।  ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন