গাইবান্ধায় যৌতুকের জন্য ঝলসে দেওয়া গৃহবধূর মৃত্যু

লাশ
প্রতীকী ছবি

গাইবান্ধায় যৌতুকের দাবিতে আগুনে ঝলসে দেওয়া গৃহবধূ শারমিন আকতার (২২) গতকাল শুক্রবার রাতে মারা গেছেন। তিনি ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তাঁর বাড়ি গাইবান্ধা সদর উপজেলার মালিবাড়ি ইউনিয়নের কাবিলের বাজার গ্রামে।

আজ শনিবার দুপুরে গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহফুজার রহমান গৃহবধূর মৃত্যুর খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

২৩ মার্চ যৌতুকের জন্য স্বামী ও শাশুড়ি মারপিট করে গৃহবধূর শরীরে আগুন দিয়ে ঝলসে দেন বলে অভিযোগ। পুলিশ জানায়, ঘটনার রাতে গৃহবধূর স্বজনেরা তাঁকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ওই রাতেই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে এক দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

পুলিশ জানায়, গৃহবধূ শারমিন আকতার কাবিলের বাজার গ্রামের কোরবান আলীর স্ত্রী। কোরবান আলী একই গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে। শারমিন আকতারের বাবার বাড়ি একই ইউনিয়নের ছালামের মোড় গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে। প্রায় দুই বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। দুই মাসের একটি সন্তান আছে এই দম্পতির।

গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজার রহমান বলেন, পুলিশ ঘটনার রাতেই স্বামী কোরবান আলী ও শাশুড়ি কুলসুম বেগমকে গ্রেপ্তার করে। এই ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে।