গাইবান্ধায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর ফাঁসি

রায় ঘোষণার পর আসামি মাইদুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে
প্রথম আলো

গাইবান্ধায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে মাইদুল ইসলাম (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত মাইদুলের বাড়ি গাইবান্ধা সদর উপজেলার মধ্যনারায়ণপুর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) ফারুক আহম্মেদ। তিনি বলেন, আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রায় কার্যকর করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১১ বছর আগে মাইদুল ইসলাম ওরফে মিঠুর সঙ্গে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ফুলহার গ্রামের আবদুর রেজ্জাকের মেয়ে খাদিজা বেগমের (২৮) বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে মাইদুল শ্বশুরবাড়িতে বাস করছিলেন। তাঁদের সংসারে এক ছেলে (১০) ও এক মেয়ে (৭) রয়েছে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে সাংসারিক বিষয় নিয়ে মাইদুল ও খাদিজার মধ্যে মনোমালিন্য চলতে থাকে। ২০১৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে মাইদুল তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে পাশের বাড়িতে (খাদিজার চাচাতো বোনের বাড়ি) ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় সন্তানেরা নানার বাড়িতে ছিল। পরদিন ৬ ফেব্রুয়ারি সকালে খাদিজার ছেলে বিজয় ওই বাড়িতে গিয়ে দেখে, তার মায়ের লাশ বিছানায় পড়ে আছে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন গিয়ে দেখেন, খাদিজার গলায় ওড়না বাঁধা। এ সময় মাইদুলকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তখন থেকে তিনি পলাতক। পরে স্থানীয় লোকজন গোবিন্দগঞ্জ থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে খাদিজার লাশ উদ্ধার করে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) ফারুক আহম্মেদ বলেন, আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রায় কার্যকর করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় খাদিজার বাবা আবদুর রেজ্জাক বাদী হয়ে জামাতা মাইদুল ইসলামকে একমাত্র আসামি করে গোবিন্দগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। আদালত আজ এ মামলায় রায় দেন।

আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আবু আলা মো. সিদ্দিকুল ইসলামসহ কয়েক আইনজীবী। সিদ্দিকুল ইসলাম বলেন, তাঁরা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।