গাজীপুরে কারখানা চালু ও বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ

সমস্যা সমাধানে কর্তৃপক্ষ কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় শ্রমিকেরা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। আজ সকালে কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর বাজার এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার পূর্ব চন্দ্রা এলাকার বন্ধ করে দেওয়া একটি কারখানা চালু ও এপ্রিল মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন ওই কারখানার শ্রমিকেরা। আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উপজেলার চন্দ্রা পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা।

আন্দোলনরত শ্রমিকেরা জানান, পূর্ব চন্দ্রা এলাকার একই গ্রুপের অ্যাপেক্স উইভিং অ্যান্ড ফিনিশিং লিমিটেড, অ্যাপেক্স অ্যাকসেসরিস লিমিটেড ও হোম টেক্সটাইল লিমিটেড নামের তিনটি প্রতিষ্ঠানে একসময় প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক কাজ করতেন। কিন্তু নানা কারণে শ্রমিক ছাঁটাই করে বর্তমানে এক হাজার শ্রমিক দিয়ে চালানো হচ্ছিল। ওই এক হাজার শ্রমিকদের গত ২৯ এপ্রিল ঈদ বোনাস দিয়ে ৩০ এপ্রিল থেকে ৮ মে পর্যন্ত কারখানায় ঈদের ছুটি ঘোষণা করা হয়। ছুটির সময় কর্তৃপক্ষ জানায় ঈদের ছুটি শেষে এপ্রিল মাসের বেতন পরিশোধ করা হবে।

ছুটি শেষে গত ৯ মে শ্রমিকেরা কাজে যোগ দিতে গিয়ে দেখেন কারখানা বন্ধ। কারখানার মূল ফটকে লেখা ছিল ‘শ্রমিক-কর্মচারীদের জানানো যাচ্ছে যে করোনা মহামারির কারণে কর্তৃপক্ষ শত চেষ্টা করেও কাজের অর্ডার সংগ্রহ করতে পারেনি। ফলে শ্রমিকদের কাজ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই কর্তৃপক্ষ ৫ মে থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬–এর ১২ ধারা মোতাবেক কারখানার কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

এর এক সপ্তাহের বেশি সময় পার হয়ে গেলেও সমস্যা সমাধানে কর্তৃপক্ষ কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এর পরিপ্রেক্ষিতে শ্রমিকেরা আজ সকাল ১০টার দিকে চন্দ্রা পল্লীবিদ্যুৎ এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। এ সময় আন্দোলনরত শ্রমিকেরা নানা স্লোগান দেন।

কারখানা শ্রমিক আবদুল আলীম বলেন, ‘মালিকপক্ষ নানা রকম চালাকি করছে। এপ্রিল মাসের বেতন না দেওয়া হলে আরও কঠিন কর্মসূচি পালন করা হবে।’

কারখানার উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) টিএম বদরুদ্দোজা স্বাক্ষরিত নোটিশে জানা গেছে, কারখানা কর্তৃপক্ষ নতুন করে যদি কাজের অর্ডার পায়, তাহলে শ্রমিকদের কাজে যোগ দেওয়ার বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু কাজের অর্ডার না পেলে তবে এই বন্ধের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হতে পারে।

জানতে চাইলে মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল আলম বলেন, শ্রমিকেরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করেছেন। তাই তাঁদের কোনো বাধা দেওয়া হয়নি।