গাজীপুরে নিবন্ধন ছাড়া পোশাকশ্রমিকদের টিকাদান শুরু

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গাজীপুরে আজ রোববার সকাল থেকে চারটি তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের করোনার প্রতিষেধক টিকাদান শুরু হয়েছে। পোশাকশ্রমিকদের দ্রুত টিকার আওতায় আনতে নিবন্ধন ছাড়া টিকা দেওয়া হচ্ছে।

কারখানাগুলো হচ্ছে কোনাবাড়ী এলাকার তুসুকা ডেনিম লিমিটেড, তুসুকা ওয়াশিং লিমিটেড, গাজীপুরের লক্ষ্মীপুরা এলাকার স্পেরো অ্যাপারেলস ও ভোগরা এলাকার রোজভ্যালি গার্মেন্টস।

পোশাকশ্রমিক ও কর্মকর্তাদের টিকাদান কর্মসূচি উপলক্ষে আজ সকালে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ী এলাকায় তুসুকার ডেনিম লিমিটেড কারখানার মিলনায়তনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গাজীপুরের সিভিল সার্জন মো. খায়রুজ্জামান। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার জাকির হাসান, বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হোসেন, বিজিএমইএর সহসভাপতি নাসির উদ্দিন, মার্কস অ্যান্ড স্পেনসর হেড অব কান্ট্রি স্বপ্না ভৌমিক, কেয়ার বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর রামেশ সিং প্রমুখ। টিকাদান কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম।

গাজীপুরের সিভিল সার্জন মো. খায়রুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, প্রথম দিনে চারটি কারখানার ১০ হাজার শ্রমিককে মর্ডানার টিকা দেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে সব শ্রমিককে টিকার আওতায় আনা হবে। শ্রমিকদের টিকা দেওয়ার জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন করতে হবে না। তবে অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র ও কর্মস্থলের পরিচয়পত্র লাগবে।

বিজিএমইএর সহসভাপতি মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেন, পর্যায়ক্রমে গাজীপুরের সব কারখানায় শ্রমিকদের টিকা দেওয়া হবে। ঈদের আগে যতটুকু সম্ভব দেওয়া হচ্ছে। ঈদের পরে আবার কারখানা চালু হলে টিকাদান শুরু হবে।

স্পেরো অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিক মো. আবদুর রহমান বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র দেখালে করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে।

গাজীপুরের তসুকা ওয়াশিং কারখানার অপারেটর আমিনুল ইসলাম বলেন, তাঁর বয়স ২৩ বছর। এত দিন ইচ্ছা থাকলেও তিনি টিকা দিতে পারেননি। এখন নিবন্ধন ছাড়াই টিকা দেওয়া যাবে। শুধু জাতীয় পরিচয়পত্র হলেই চলবে। টিকা নিলে ঝুঁকিমুক্ত থাকতে পারবেন বলে আশা তাঁর।

স্পেরো অ্যাপারেলস কারখানার পরিচালক কাজী শরিফুল ইসলাম রেজা বলেন, তাঁদের কারখানায় চার হাজার শ্রমিক আছেন। এর মধ্যে অনেকেই টিকা নিয়েছেন। যাঁরা বাকি আছেন, তাঁদের টিকা দেওয়া হবে। এর জন্য তিন হাজার শ্রমিকের তালিকা করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে নয়টি বুথ করা হয়েছে। টিকা নেওয়ার পর যাতে বিশ্রাম করতে পারেন, তার জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে।