গাজীপুরে বিএনপির মিছিলে লাঠিপেটা, আহত ১০

গাজীপুর মহানগর বিএনপির মিছিলে লাঠিপেটা করে পুলিশ। এতে গুরুতর আহত এক নেতা
ছবি: প্রথম আলো

সারা দেশে নির্বিচারে মানুষ ‘হত্যা’র প্রতিবাদে আজ সোমবার বিকেলে গাজীপুর মহানগর বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীদের ধাওয়া, কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা করে ছাত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। তবে বেশ কিছু যানবাহন ভাঙচুর করায় তাঁদের লাঠিপেটা করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

বিএনপির কয়েকজন নেতা-কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হেফাজতে ইসলাম ও ইসলামি দলগুলোর শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলি ও সরকারদলীয় সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন মারা যান। মহান স্বাধীনতা দিবসে অগণতান্ত্রিক সরকার কর্তৃক এমন ‘হত্যা’র প্রতিবাদে সোমবার বিকেলে গাজীপুর মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। গাজীপুর শহরে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয় সোমবার বেলা তিনটায়।

মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আবদুস সালাম শামীমের নেতৃত্বে মিছিলটি শহরের আজিম উদ্দিন কলেজ এলাকা থেকে শুরু হয়ে রাজবাড়ী রোডের দলীয় কার্যালয়ের দিকে যাচ্ছিল। মিছিলটি মাধব বাড়ির সামনে পৌঁছালে পুলিশ নেতা-কর্মীদের বাধা দেয়। এ সময় নেতা-কর্মীরা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে মিছিল করতে গেলে তাঁদের লাঠিপেটা করে পুলিশ। একপর্যায়ে পুলিশ শর্টগানের গুলি ছুড়ে নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে অন্তত ১০ জন নেতা-কর্মী আহত হন। আহতেরা স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।

আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় মহানগর সদর থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাজু আহমেদ, যুবদলের কর্মী সাইদুল মাহমুদ, মহানগর সদর থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব, টঙ্গী পূর্ব থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রিফাত রশিদকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি হাসান উদ্দিন সরকার জানান, নেতা-কর্মীরা জেলা শহরে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছিলেন। একটি মিছিল নিয়ে বিএনপির অফিসের দিকে যাওয়ার সময় পুলিশ তাঁদের ওপর লাঠিপেটা করে এবং শর্টগানের গুলি ছোড়ে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হন।

গাজীপুর মেট্রোপলিটনের সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীরা মিছিল করার সময় রাজবাড়ী রোডের চলাচলরত যানবাহন ভাঙচুর করছিলেন। যানবাহন ভাঙচুর করতে বাধা সৃষ্টি করলে তাঁরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। পরে পুলিশ লাঠিপেটা করে তাঁদের ছাত্রভঙ্গ করে দেয়।