গাজীপুরে স্কয়ারের ওষুধ কারখানার আগুন সাত ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কাঁঠালতলা এলাকায় স্কয়ারের ওষুধ তৈরি কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আজ সোমবার বিকেলে
ছবি: প্রথম আলো

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের কারখানার একটি নতুন ইউনিটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার কাঁঠালতলা এলাকার কারখানায় আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিটের সাত ঘণ্টার চেষ্টায় রাত পৌনে ৮টার দিকে ওষুধ কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, কারখানার নতুন ভবনের তৃতীয় তলায় আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে পুরো ফ্লোরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। কালো ধোঁয়ায় আছন্ন হয়ে পড়ে আশপাশ এলাকা। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর, জয়দেবপুর, টঙ্গী, সাভারের ইপিজেড ও টাঙ্গাইলের মির্জাপুর, সখীপুরসহ আশপাশের ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটগুলো ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। রাত পৌনে ৮টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের নির্বাহী মানবসম্পদ কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে জানান, সোমবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কারখানার লার্জ ভলিউম প্যারেন্টাল ইউনিটে আগুনের সূত্রপাত হয়। কারখানার টেকনিক্যাল ফ্লোরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে। ওই ইউনিটে স্যালাইন তৈরি হয়। এখানে তেমন জনবলের প্রয়োজন হয় না। ব্যবস্থাপনার জন্য কয়েকজন লোক প্রয়োজন হলেও অগ্নিকাণ্ডের সময় তাঁরা সেখান থেকে বের হয়ে এসেছেন। আগুনে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট আগুন নেভাতে চেষ্টা করে। পরে তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ৭ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ভেতরে বিপুল পরিমাণ তরল কেমিক্যাল, প্লাস্টিক, মেশিনপত্র ও প্রচণ্ড কালো ধোঁয়ার কারণে আগুন নেভাতে বেশি সময় লেগেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে সোমবার রাত ৮টার দিকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. রেজাউল করিম ব্রিফিং করেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড কারখানার ওয়েল্ডিংয়ের কাছ থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ছাড়া কারখানার নিজস্ব ফায়ার ফাইটিং (অগ্নিনির্বাপণ) ব্যবস্থা দুর্বল থাকার কারণে আগুন নেভাতে সময় বেশি লেগেছে। এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি করা হবে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল হামিদ বলেন, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের আগুন লাগার খবর পেয়ে প্রথমে কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। কিন্তু আগুন নিয়ন্ত্রণে না এলে ফায়ার সার্ভিসের জয়দেবপুর, টঙ্গী, সাভারের ইপিজেড ও টাঙ্গাইলের মির্জাপুর, সফিপুর ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।