গাবতলীতে দাদন ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা

প্রতীকী ছবি

বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় নিখোঁজের চার দিন পর শামিম আহম্মেদ (২২) নামের এক তরুণের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার সকালে বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের সোনাকানিয়া বিলের কচুরিপানার মধ্য থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

শামিম আহম্মেদ মহিষাবান ইউনিয়নের সোনাকানিয়া মধ্যপাড়ার বাসিন্দা। শামিম তাঁর মামা মহিদুল ইসলামের সঙ্গে স্থানীয়ভাবে সমিতির মাধ্যমে দাদন ব্যবসা করতেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় নিহত শামিমের বাবা শাহাদৎ হোসেন বাদী হয়ে গাবতলী মডেল থানায় মামলা করেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাজারে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন শামিম আহম্মেদ। তাঁকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ওই রাতেই গাবতলী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তাঁর মামা মহিদুল ইসলাম। আজ সকাল আটটার দিকে বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে সোনাকানিয়া বিলের কচুরিপানার মধ্যে ভাসমান লাশ দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেন। পরে পরিবারের সদস্যরা সেখানে গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন।

সহকারী পুলিশ সুপার (গাবতলী ও সারিয়াকান্দি সার্কেল) সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, শামিমকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। তাঁকে কী কারণে কারা হত্যা করেছে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দাদন ব্যবসার লেনেদেনকে কেন্দ্র করে কারও সঙ্গে বিরোধের জেরে কিংবা নারীঘটিত ঘটনার জেরে তাঁকে খুন করা হতে পারে।