গৃহবধূকে মারধরের পর শিকলে বেঁধে রাখার অভিযোগ, গ্রেপ্তার ১

নারী নির্যাতন
প্রতীকী ছবি

সিলেটের জৈন্তাপুরে এক গৃহবধূকে মারধরের পর শিকলে বেঁধে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় ব্যক্তিদের মাধ্যমে খবর পেয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে কুলসুমা বেগম (৩৫) নামের ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

কুলসুমা বেগম জৈন্তাপুর উপজেলার ফাতেপুর শিকার খাঁ গ্রামের মুজাহীদ আলীর স্ত্রী। এ ঘটনায় গৃহবধূ বাদী হয়ে জৈন্তাপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন। পুলিশ জমশেদ আলী (৪০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি সম্পর্কে কুলসুমা বেগমের ভাশুর।

পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, কুলসুমা বেগমের স্বামী মুজাহীদ আলী ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালাতেন। তিনি স্ত্রী ও চার সন্তান নিয়ে আলাদা সংসার করতেন। তবে সম্প্রতি মুজাহীদ আলী মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি সুস্থ থাকা অবস্থায় আয়ের অংশ থেকে কুলসুমা বেগম কিছু টাকা জমিয়ে রেখেছিলেন। সেই টাকা দিয়ে স্বামীর চিকিৎসা ও সংসারের খরচ চালাচ্ছিলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে কুলসুমার ভাশুর, শাশুড়ি, দেবর, ননদ মিলে টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অপারগতা জানালে তাঁরা সবাই মিলে কুলসুমাকে মারধর করেন। একপর্যায়ে তাঁকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখেন।

পরে পুলিশ স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে কুলসুমাকে উদ্ধার করে শিকলমুক্ত করেন। পরবর্তী সময়ে তাঁকে ও তাঁর স্বামীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় রাতে কুলসুমা বেগম বাদী হয়ে পাঁচজনের নামে মামলা করেছেন।

জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম দস্তগীর প্রথম আলোকে বলেন, শিকলে বাঁধা অবস্থায় ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাঁকে শিকলমুক্ত করে পুলিশের জিম্মায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর স্বামী মানসিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ওসি বলেন, মামলায় অভিযুক্ত গৃহবধূর ভাশুর জমশেদ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে আজ শুক্রবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।