গৃহবধূকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড, সহযোগীর যাবজ্জীবন

আদালত
প্রতীকী ছবি

ঠাকুরগাঁও জেলা শহরে গৃহবধূকে হত্যার দায়ে তাঁর স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই ঘটনায় সহযোগিতা করায় আরেকজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। জেলা ও দায়রা জজ মামুনুর রশিদ আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ আদেশ দেন।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ব্যক্তির নাম ইমতিয়াজ হোসেন (৩৭)। তিনি শহরের মুন্সিপাড়া এলাকার বাসিন্দা। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া ব্যক্তি হলেন শহরের কলেজপাড়া এলাকার আসাদ হোসেন (২৮)। রায় ঘোষণার সময় ইমতিয়াজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আসাদ পলাতক।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শেখর কুমার রায় বলেন, এই দণ্ডাদেশে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট। এই নৃশংসতার জবাব বিচারের মাধ্যমে হলো। যদিও বিচার দেরি হয়েছে, তবে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়েছে। অপরাধ দমনে এ রায় সমাজে দৃষ্টান্ত হিসেবে থাকবে।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, পারিবারিক কলহের জের ধরে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট মুন্সিপাড়া এলাকায় ফারিয়া আক্তারকে (২৪) মারধরের পর শ্বাসরোধে হত্যা করেন স্বামী ইমতিয়াজ হোসেন। এ ঘটনা আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার জন্য আসাদকে সঙ্গে নিয়ে ফারিয়ার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের ভেতর বাঁশের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখেন ইমতিয়াজ। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় ফারিয়ার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পায় পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে জানা যায়, ফারিয়াকে মারধর ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ২০১৩ সালের ২৩ অক্টোবর ঠাকুরগাঁও সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হক হত্যা মামলা করেন। এতে ইমতিয়াজ ও আসাদকে আসামি করা হয়। তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুর রহমান আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় আজ রায় দেন আদালত।