গৃহবধূকে হত্যার ১০ বছর পর আসামির মৃত্যুদণ্ড

জমি নিয়ে বিরোধের জেরে হামলায় কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় গৃহবধূ লাইলী বেগমকে (৪৫) হত্যার দায়ে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মৃত্যুর ১০ বছর পর আজ মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মো. আবদুল মান্নান এ রায় দেন।

দণ্ড পাওয়া ব্যক্তি হলেন যাদুরচর ইউনিয়নের বাইমমারী গ্রামের আবদুস ছাত্তার (৫৬)। নিহত লাইলী একই গ্রামের সামছুল হকের (৫৫) স্ত্রী।

জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ২০১০ সালের ৮ নভেম্বর লাইলী বেগমকে শাবল দিয়ে আঘাত করেন আবদুস ছালাম। উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তাঁর মৃত্যু হয়।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, সামছুল হকের সঙ্গে প্রতিবেশী আবদুস ছালামের (৬০) ৫৮ শতক জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। ২০১০ সালের ৮ নভেম্বর আবদুস ছালাম ও তাঁর লোকজন ওই জমির পাকা ধান কেটে নিয়ে যান। তাঁরা জমি থেকে সেচের শ্যালো মেশিন নিতে গেলে সামছুলের স্ত্রী লাইলী বাধা দেন। একপর্যায়ে আবদুস ছালামের পক্ষের আবদুস ছাত্তার শাবল দিয়ে মাথায় আঘাত করলে লাইলী লুটিয়ে পড়েন। আশপাশের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে যাওয়ার কিছু সময় পরই তাঁর মৃত্যু হয়।

ওই ঘটনায় সামছুল রৌমারী থানায় ১৪ জনের নামোল্লেখ করে মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত করে সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। আদালত আজ দুপুরে আবদুস ছাত্তারকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। অপর ছয়জন আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন মো. আমির আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সরকারি কৌঁসুলি আব্রাহাম লিংকন। তিনি বলেন, ‘আমরা এ রায়ে সন্তুষ্ট। এ রায় সমাজের জন্য অনেক কার্যকর হবে। এতে অপরাধীরা এ ধরনের ঘৃণ্য অপরাধ থেকে বিরত থাকবে।’