গোপন কক্ষে একসঙ্গে ঢুকে সিল মেরেছেন দুজন

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার আওলাই ইউপি নির্বাচনে শান্তা গুড়নী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের তিন নম্বর বুথের গোপন কক্ষে একসঙ্গে ভোট দিচ্ছেন দুজন। ছবিটি বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে তোলা
ছবি: প্রথম আলো

একসঙ্গে দুজন ব্যক্তি গোপন কক্ষে গিয়ে ব্যালট পেপারে সিল দিচ্ছিলেন। আরেকটি কক্ষে নারী বুথের গোপন কক্ষের পাশে একজন নারী দাঁড়িয়ে আছেন। ব্যালটে থাকা পছন্দের প্রার্থীর প্রতীকে সিল দেওয়ার জন্য ভোটারদের বলে দিচ্ছেন তিনি। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার আওলাই ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে শান্তা গুড়নী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রর তিন নম্বর ও ছয় নম্বর বুথে এ দৃশ্য দেখা গেছে।

সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সরেজমিনে ওই ভোটকেন্দ্রে দেখা যায়, নারী-পুরুষ ভোটারের দীর্ঘ লাইন। ভোটকেন্দ্রের মাঠে উৎসুক লোকজন ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে ভোটকেন্দ্রের ৩ নম্বর বুথে গিয়ে দেখা যায়, দুই ব্যক্তি একসঙ্গে গোপন কক্ষে ঢুকে ভোট দিচ্ছিলেন। এ সময় পোলিং কর্মকর্তার সামনেই এক ব্যক্তি নৌকা প্রতীকে সিল মারেন। ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা শহিদুল ইসলামকে বিষয়টি জানানো হলে তিনি ৩ নম্বর বুথে এসে ওই দুই ব্যক্তিকে গোপন কক্ষে একসঙ্গে ভোট দেওয়ার দৃশ্য দেখতে পান। তাঁরা ভোট দিয়ে দ্রুত চলে যান।

ওই কক্ষে থাকা বিদ্রোহী প্রার্থী একরামুল হক চৌধুরীর এজেন্ট মহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, একসঙ্গে দুই-তিনজন ভোটার গোপন কক্ষে গিয়ে নিজেরাই দেখাদেখি করে ভোট দিচ্ছেন। কেউ আবার প্রকাশ্য ব্যালটে সিল দিচ্ছেন। এ বিষয়ে পোলিং ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে একাধিকবার জানিয়েছেন। কিন্তু লাভ হয়নি।

১১টা ৫৫ মিনিটে ৬ নম্বর নারী বুথে গিয়ে দেখা যায়, একজন নারী গোপন কক্ষের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁর পছন্দের প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য ব্যালটে থাকা প্রতীক দেখিয়ে দিচ্ছিলেন ভোটারদের। নাম জিজ্ঞাসা করতেই ওই নারী দ্রুত কক্ষের ভেতর থেকে বেরিয়ে যান।

শান্তা গুড়নী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, ৩ নম্বর বুথের গোপন কক্ষে একই সঙ্গে যে দুই ব্যক্তি গিয়েছিলেন, তাঁরা দুজন বন্ধু। এ রকম ঘটনা আর যেন না ঘটে, সে জন্য পোলিং কর্মকর্তাদের সতর্ক করা হয়েছে। তিনি জানান, এই কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ হাজার ২৩৪ জন।